এইচডব্লিউপিএল কর্মশালায় বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের ঐকমত্য
সংঘাতের অন্ধকারে সাংবাদিকতাই শান্তির আলোকবর্তিকা
ডেল্টা টাইম ডেস্ক:
|
![]() সংঘাতের অন্ধকারে সাংবাদিকতাই শান্তির আলোকবর্তিকা “ট্রান্সফর্মিং কনফ্লিক্ট থ্রু এআই অ্যান্ড কালচারাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং”—এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাংবাদিকতার উপর প্রভাব, গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনার গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক সহনশীলতা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে সাংবাদিকতা কীভাবে নৈতিকতা, নিরপেক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ ধরে রাখতে পারে, তা-ই ছিল আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য। কর্মশালায় আলোচনায় উঠে আসে পিস জার্নালিজম স্টাডিজ (২০২৪) শীর্ষক সাম্প্রতিক প্রকাশনা। এতে গঠনমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে পুনর্মিলন ও আন্তঃসাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার উদাহরণ তুলে ধরা হয়। জাম্বিয়া ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মহাপরিচালক বেরি লোয়ান্ডো বলেন, “আজকের দ্রুতগতির মিডিয়া জগতে আমরা কী প্রচার করি, সেটিই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। শান্তিপূর্ণ সাংবাদিকতা মানে সংঘাত এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সেটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা যা সংলাপে পৌঁছাতে সহায়ক।” মালাউই পার্লামেন্ট সদস্য নোয়েল লিপিপা বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নতুনভাবে গল্প বলা এবং সংঘাত সমাধানের পথ খোঁজার প্রচেষ্টায় আমি অনুপ্রাণিত।” অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার সাংবাদিক গারফিল্ড বারফোর্ড বলেন, “তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতা আজ অত্যন্ত জরুরি। এআই সাংবাদিকতাকে দ্রুততর করলেও, এতে যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন থেকেই যায়। মানবিক সহানুভূতি কখনোই প্রযুক্তির বিকল্প হতে পারে না।” নেপালের সিজাম সিঞ্জালি জানান, শান্তিপূর্ণ সাংবাদিকতা সহিংসতাহীন সমাধানকে উৎসাহ দেয়। নৈতিক দায়বদ্ধতা ও প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার সাংবাদিকতায় গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে পারে। ফিলিপাইনের ড. মুসা দামাও বলেন, “বানসামোরো শান্তি প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকতা অত্যন্ত কার্যকর। শিক্ষা ব্যবস্থায় শান্তি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।” অস্ট্রিয়ার জোসেফ মুলবাউয়ার তাঁর “ভারনা পিস ইনস্টিটিউট” পডকাস্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উন্মুক্ত সংলাপ ও বিতর্ক ক্ষতিকর চিন্তাধারার মোকাবেলায় কার্যকর হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার টুতি পুরওয়ানিংসিহ বলেন, পরিবার ও সমাজের মূল্যবোধ—সহানুভূতি ও সহনশীলতা—গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকার মাধ্যমে আরও প্রসারিত হতে পারে। এই কর্মশালা এইচডব্লিউপিএল-এর “ডিক্লারেশন অব পিস অ্যান্ড সেসেশন অব ওয়ার (ডিপিসিডব্লিউ)” উদ্যোগের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। ডিপিসিডব্লিউ-এর ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে “শান্তির সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া” এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে অংশগ্রহণকারীরা নৈতিকতা ও শান্তির পক্ষে সাংবাদিকতায় আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |