নাগরপুরে শৌখিন ধান চাষির মুখে সোনালি হাসি
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
|
![]() নাগরপুরে শৌখিন ধান চাষির মুখে সোনালি হাসি উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের ঘিওরকোল মধ্যপাড়ার দুলাল সরকার জানান, কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের পরামর্শে তিনি ব্রি-১০৮ জাতের ধানের চারা তৈরি করে ১টি করে চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে রোপণ করেন। অন্য জাতের তুলনায় এটি আগে ঘরে তোলা সম্ভব এবং ফলনও বেশি—এ দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ব্রি ধান-১০৮: উচ্চ ফলন ও স্বাস্থ্যসম্মত চাল কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ব্রি-১০৮ জাতটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত এবং এটি বোরো মৌসুমে সারা দেশে চাষের জন্য অনুমোদিত। এ জাতের প্রতিটি ছড়ায় ২৫০ থেকে ২৭০টি ধান থাকে, গড় ফলন ৮.৭ টন/হেক্টর, যা ব্রি ধান-১০০ এর চেয়ে প্রায় ১–১.৫ টন বেশি। এর চাল মাঝারি লম্বা, চিকন এবং জিরা চালের মতো দেখতে। ভাত ঝরঝরে, সাদা রঙের এবং এতে আমাইলোজ ২৪.৫% ও প্রোটিন ৮.৮%—যা একে স্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম রাসেদুল হাসান জানান, “এই উপজেলায় প্রথমবারের মতো ব্রি-১০৮ জাতের ধান চাষ হয়েছে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। জিরা চালের বিকল্প হিসেবে বাজারে এর ভালো চাহিদা তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।” তিনি আরও জানান, অন্যান্য কৃষকরাও এখন ব্রি-১০৮ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই কৃষি বিভাগ এই জাতের বীজ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ডেল্টা টাইমস/মো. আমজাদ হোসেন রতন/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |