আটাব মহাসচিবকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন পদত্যাগকারী নির্বাহী সদস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() . রোববার (১১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সবুজ মুন্সীর পক্ষে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. সেলিম মিয়া। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, “আমার মোয়াক্কেল কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে এবং তার বর্ণনা অনুযায়ী আপনাকে জানানো যাচ্ছে, আমার মোয়াক্কেল একজন আইন মান্যকারী, স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি গত ২৪ এপ্রিল আটাব কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে বিব্রত হয়ে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগপত্র ২৬ এপ্রিল জরুরি সভায় গৃহীত হয়। অথচ ওই দিন আপনি আটাবের পক্ষে একটি প্রেস রিলিজ দেন, যেখানে তার পদত্যাগের বিষয়টি গোপন রেখে আপনি তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন এমন ভান করার চেষ্টা করেন। এতে গণমাধ্যম বিভ্রান্ত হয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে।” নোটিশে আরও বলা হয়, প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আটাব সদস্য সবুজ মুন্সী সরকারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে টিকিট সিন্ডিকেট, নামহীন টিকিট বুকিং, মজুদদারি, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। অথচ তদন্ত কমিটির চিঠিতে “সিন্ডিকেট”, “মজুদদার”, “কালোবাজারি” এসব শব্দের উল্লেখ নেই। আপনি অতিরঞ্জিত ও নেতিবাচক শব্দ সংযোজন করে আমার মোয়াক্কেলের সম্মানহানি ও ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন করেছেন। নোটিশে বলা হয়, যেহেতু বিষয়টি সরকারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির অধীন বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে মিথ্যাচার করে প্রেস রিলিজ দেওয়া আইনসঙ্গত নয়। আপনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সঠিক তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনি সাজিয়ে আমার মোয়াক্কেলের সুনাম ও ব্যবসার ক্ষতি করেছেন। এ কারণে আপনাকে নোটিশ প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায়, আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, সম্মানহানি ও ব্যবসায়িক ক্ষতির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৫/২৯/৬২ ধারা এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৪২০ ধারায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করবেন, যার দায়ভার আপনাকেই বহন করতে হবে। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |