যমুনা সেতুতে তীব্র ভোগান্তি, প্রবেশপথে যানজট
ছুটির শেষ দিনে ঢাকামুখী মানুষের ঢল, ফিরতি পথে ভোগান্তি
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম

ছুটির শেষ দিনে ঢাকামুখী মানুষের ঢল, ফিরতি পথে ভোগান্তি

ছুটির শেষ দিনে ঢাকামুখী মানুষের ঢল, ফিরতি পথে ভোগান্তি

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটির শেষ দিন আজ শনিবার (১৪ জুন)। শেষ মুহূর্তে কর্মস্থলে ফিরতে রাজধানীমুখী হচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। ঈদের পর থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করলেও আজ যাত্রীচাপ সবচেয়ে বেশি।

গাবতলী, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীদের কেউ এসেছেন পরিবারসহ, কেউ বা একাই। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা নানা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।


উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা অনেক যাত্রীর অভিযোগ, মূল ভোগান্তি হয়েছে যমুনা সেতুতে। দিনাজপুর থেকে ফেরা বেসরকারি চাকরিজীবী আবু ইবনুল আজিজ বলেন,

“সকাল ৮টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল, এসেছি সাড়ে ১২টায়। যমুনা সেতুতে ৪–৫ ঘণ্টা আটকে ছিলাম। চার লেনের গাড়ি এসে দুই লেনে আটকে যাচ্ছে, বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “তীব্র গরমে যাত্রা আরও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।”

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নাইব হাসান নিয়ম বলেন,

“আগেও ঈদে বাড়ি গিয়েছি, কিন্তু যমুনা সেতুতে এত ভোগান্তি কখনও হয়নি। টোল প্লাজায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া।”


দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীরাও যানবাহনের ধীরগতির অভিযোগ করছেন। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে যেমন যাত্রাবাড়ী, কাজলা ও সায়েদাবাদ এলাকায় রয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। যাত্রীদের কেউ কেউ টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়ার কথাও জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে ফেরা পোশাক শ্রমিক ইমন আলী বলেন,

“দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে ফিরছি। তবে ফেরার পথে তেমন ভোগান্তি হয়নি।”

অন্যদিকে ঈদের সময় ডিউটি করা চালক মো. আলমাস বলেন,

“ঈদের সময় ছুটি পাইনি। এখন ছুটি পেয়েছি, পরিবারের কাছে যাচ্ছি। বাড়ি মাদারীপুর।”


গাবতলীর স্টার এক্সপ্রেসের কাউন্টার মাস্টার আল মাসুদ বিন বাপ্পী জানান,

“কোরবানির ঈদে যাত্রী ছিল ভালো। আজ ছুটির শেষ দিন হওয়ায় বাসগুলো ফুল সিট নিয়ে ঢাকায় আসছে। তবে এখনও কিছু মানুষ ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন।”

রংপুরগামী ডিপজল এন্টারপ্রাইজের চালক মো. মাসুদ বিশ্বাস বলেন,

“এখন যাত্রী কম, তাই শুধু বাস চালু রাখতেই যাত্রী নিচ্ছি।”

যাত্রাবাড়ী থানার ট্রাফিক সার্জেন্ট আল আমিন জানান,

“গতকাল জুমার নামাজের পর থেকেই ঢাকামুখী চাপ বেড়েছে। আজও তা অব্যাহত আছে। প্রায় ৩০–৩৫ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন যানজট নিয়ন্ত্রণে।”

তিনি বলেন,

“অনেক বাস একসঙ্গে ঢুকছে, তাই ঢোকার মুখে থামিয়ে ধাপে ধাপে ঢোকানো হচ্ছে, না হলে সব আটকে যাবে।”


সায়েদাবাদ ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আমিনুর রহমান বলেন,

“আগামীকাল (রবিবার) থেকে সব প্রতিষ্ঠান খুলবে। এজন্য গতকাল বিকেল থেকেই চাপ বেড়েছে। আজ তা চূড়ায় পৌঁছেছে।”


উল্লেখ্য, ঈদের আগে গত ৪ জুন (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। ৫ জুন সকাল থেকে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকায় ভয়াবহ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তরবঙ্গমুখী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।



ডেল্টা টাইমস/সিআর

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com