|
যুক্তরাজ্যে অবদান রাখলেই আনা যাবে পরিবার
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() যুক্তরাজ্যে অবদান রাখলেই আনা যাবে পরিবার লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বুধবার রাতে এক ঘোষণায় বলেন, ‘দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের পথ দীর্ঘ হবে এবং তা কেবল অবদান রাখার মাধ্যমেই অর্জন করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লেবার সরকার আশ্রয়নীতি কঠোর করার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এতদিন পর্যন্ত আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের যুক্তরাজ্যে আনার সুযোগ পেতেন। গত মাসে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার এ নিয়ম ‘অস্থায়ীভাবে স্থগিত’ করেছিলেন। কিন্তু এবার স্টারমার সরকার একেবারেই এ সুযোগ বাতিল করার পরিকল্পনা জানিয়েছে। সরকারের ভাষ্যে, পরিবারকে আনার অধিকার ‘অর্জন করতে হবে’। তাদের মতে, কেউ পাসপোর্ট কিনে চ্যানেল পাড়ি দিলেই পরিবারের জন্য স্থান পাওয়া উচিত নয়। স্থায়ী হওয়ার শর্ত আরও কঠোর সরকার দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের অধিকার সম্পর্কেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আগে পাঁচ বছর যুক্তরাজ্যে কাজ করা বা পরিবারের কারও উপস্থিতি থাকলেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি (ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন বা আইএলআর) চাওয়া যেত। এখন তা আর সম্ভব নয়। নতুন নিয়মে ১০ বছর বসবাসের প্রমাণ দিতে হবে এবং এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে অবদান রাখা, উন্নতমানের ইংরেজি জানা, সরকারি ভাতা না নেওয়া এবং স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে। অতএব, আশ্রয় পাওয়া মানেই আর ‘লটারিতে টিকিট জেতা’ নয়। অর্থাৎ একবার আশ্রয় মঞ্জুর হলে তারপর স্থায়ীভাবে বসবাস করা এবং পরিবারকে সঙ্গে আনার অধিকার, এই তিনের সংমিশ্রণ আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য হবে না। আশ্রয়নীতির বিস্তারিত সংস্কার চলতি শরৎকালেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে লন্ডন। মানবাধিকার আইনের ব্যাখ্যায় পরিবর্তন বুধবার সরকার জানিয়েছে, শরণার্থী ও শিশু অধিকারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করতে চায় তারা। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বিবিসিকে বলেন, আমি এগুলো ভাঙব না। তবে সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা বদলাতে হবে।’ এর লক্ষ্য হলো আশ্রয়ের আবেদন সংখ্যা কমিয়ে আনা। এই নীতি ঘোষণার পেছনে রয়েছে যুক্তরাজ্যে রেকর্ডসংখ্যক নিয়মিত ও অনিয়মিত অভিবাসনের প্রবাহ এবং অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকের উত্থান। স্টারমারের সরকার এভাবে কড়া অবস্থান দেখিয়ে জাতীয় বিতর্ক শান্ত করতে চায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক বছরে প্রায় ২১ হাজার পরিবার পুনর্মিলনের ভিসা দেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগই নারী ও শিশুদের জন্য। একই সময়ে আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি, যা ২০০১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। এ বছরের শুরু থেকে ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ঢুকেছেন আরও ৩৩ হাজার মানুষ, যা একই সময়ের জন্য নতুন রেকর্ড। সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |