বিশ্ব শিক্ষক দিবস: শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে
ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন
প্রকাশ: শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:১৫ পিএম

বিশ্ব শিক্ষক দিবস: শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে

বিশ্ব শিক্ষক দিবস: শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে

শিক্ষক একজন পথপ্রদর্শক এবং সমাজ পরিবর্তনের কারিগর। একজন শিক্ষকই পারেন জ্ঞান, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে গড়ে তুলতে। একজন শিক্ষকের অবদানই একটি জাতিকে শক্তিশালী, জ্ঞানসমৃদ্ধ ও উন্নত পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এ কারণেই হয়তো প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস (World Teachers Day) পালিত হয়। বিশ্ব শিক্ষক দিবসের সূচনা হয় ১৯৯৪ সালে। এটি UNESCO (জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা) এবং ILO (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) যৌথভাবে কর্তৃক ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। এ দিবসে শিক্ষক সমাজকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়, তাদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা হয়। এবছর বিশ্ব শিক্ষক দিবস প্রথমবারের মতো প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে, এটি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে, যা প্যান-আফ্রিকান কনফারেন্স অন টিচার এডুকেশন (PACTED)-এর অংশ। এই স্থানটি মনোনয়ন আফ্রিকা মহাদেশীয় শিক্ষা কৌশল (CESA) এবং আফ্রিকান এডুকেশন ডিসেম্বরের সাথে সম্পর্কিত, যা শিক্ষাকে টেকসই উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়ার একটি নতুন বৈশ্বিক এবং মহাদেশীয় প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরবে ।

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবিক দক্ষতা সংরক্ষণ (Artificial Intelligence and Education: Preserving Human Flourishing in Automations)। এই প্রতিপাদ্যটি স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানুষের দক্ষতা এবং সম্ভাবনার ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব এবং শিক্ষার মাধ্যমে এই মানবিক দিকটি সংরক্ষণের উপর জোর দেয় ।

এ সময় বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৫.৮ লক্ষ শিক্ষক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

বাংলাদেশের শিক্ষকতা পেশার দৈন্যদশার কারণ কি? অধিক যোগ্যরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। এ কারণে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত মানসম্পন্ন শিক্ষক। বিশেষ করে পূর্ণ করতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষকের শূন্য পদ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন জাগে, যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না কেন? সংক্ষেপে, এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা-মর্যাদা অন্য যেকোনো চাকরি হতে কম। প্রায় সকল শিক্ষার্থীর ‘এইম ইন লাইফ’ এ শিক্ষকতা নেই। অন্য কোন চাকরি না জুটলে, শিক্ষকতায় এলেও শিক্ষকতাকে একমাত্র পেশা হিসেবে নিতে চাচ্ছেন না। তাই প্রকৃত শিক্ষক হয়ে উঠছেন না।

ভালো ছাত্র স্বেচ্ছায় শিক্ষক হলে ভালো শিক্ষক হয়ে উঠবার সম্ভাবনা যতটা বেশি থাকে, এর বিপরীত বৈশিষ্ট্যের কেউ শিক্ষক হলে ভালো শিক্ষক হয়ে উঠবার সম্ভাবনা ততটাই কম থাকে। যতই আধুনিক শিক্ষা উপকরণ যুক্ত করা হোক, উন্নত সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বহুতল ভবন নির্মাণ করা হোক; শিক্ষকের মান বৃদ্ধি করা সম্ভব না হলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকের বেতন সর্বোচ্চ নির্ধারণ করে দিলেই শিক্ষকের মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়ে যাবে এমনটি অবাস্তব। কেননা, এই আমি যতদিন আছি ততদিন দিয়েই যাব ফাঁকি, রেখেই যাব কম দক্ষতার স্বাক্ষর। তথাপি বৃদ্ধি করতে হবে আমার তথা শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা।

অনেকেই মনে করেন, বেসরকারি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা-মর্যাদা সবচেয়ে কম থাকবে, তারা তুলনামূলক কম যোগ্য-দক্ষ থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কেননা, তারা তো বেসরকারি। কিন্তু বাস্তবতা হলো এ বেসরকারি শিক্ষকগণই পাঠদান করেন দেশের প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের এবং ওই শিক্ষার্থীরাই নিয়োজিত হয় দেশের সকল কর্মক্ষেত্রে।

আমরা নিশ্চিত করিনি অধিক যোগ্যদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করার সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থা। বরং এক্ষেত্রে আমরা করেছি উল্টোকর্মকাণ্ড! অন্যান্য পেশার তুলনায় কমিয়েছি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা। এখনো একটি তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি গ্রহণযোগ্য শিক্ষকতায়। ছাড় দিয়েছি শিক্ষকতায় প্রবেশের বয়সে। এখনো ৩৫ বছর বয়সে আবেদন করা যায় শিক্ষকতায় প্রবেশের জন্য; যা অন্য অনেক পেশায় সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষকদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম দুইটি চ্যালেঞ্জ নিম্নে সংক্ষিপ্ত রূপ বর্ণনা করা হলো :

১। বাংলাদেশে শিক্ষক শিক্ষার্থী-র অনুপাত অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা শিক্ষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪২ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক ছিল, বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বাড়ছে, যেখানে সেখানে বর্তমানে এই অনুপাত আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ছিল ৩০.০৫:১। ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে ১:৩০ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ১:২০ বা ১:২২ অনুপাত কাম্য হলেও বাস্তবে এটি পূরণ হয়নি।

২। বাংলাদেশে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ম্যানেজিং কমিটি নামক আপদ। কারণ, ম্যানেজিং কমিটির অধিকাংশ সদস্যই শিক্ষকদের তুলনায় কম শিক্ষিত, অনেক সময় মূর্খ ব্যক্তিরাও কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে শিক্ষকদের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন ।

ম্যানেজিং কমিটিগুলোতে প্রায়শই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হন, যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে শিক্ষকদের ব্যবহার করতে উদ্যত হন। এটি যোগ্য শিক্ষকদের আত্মসম্মানে আঘাত করে।

কমিটির সদস্যরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সুযোগ-সুবিধার জন্য শিক্ষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করেন, যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নষ্ট করে। যা অভিভাবক এবং জনসাধারণের নিকট শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করে ।

কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ব্যর্থতা ও স্বচ্ছতার অভাবের কারণে প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়। এর দায়ভারও প্রকারান্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিতে হয়।

ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সরকারি পর্যায় থেকে যথাযথ নজরদারির অভাব রয়েছে, যেটি এই কমিটিকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলে। যা প্রকারান্তরে শিক্ষাগুরুদের প্রতি অসম্মানের শামিল।

শিক্ষকের মর্যাদা’’ এর সমার্থক শব্দগুলো হলো শিক্ষকের সম্মান, গুরুত্ব, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি। এই শব্দগুলো শিক্ষকের ভূমিকা ও সমাজে তাদের অবস্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উপরল্লেখিত শব্দগুলো এমন কিছু অনুভূতি বা আচরণ যা শিক্ষককে অন্যদের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং শ্রদ্ধার যোগ্য করে তোলে।

যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকগণ শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় কবিতা, গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছেন। এমন একটি কবিতা কবি কাজী কাদের নেওয়াজের রচিত শিক্ষাগুরুর মর্যাদা , যা বাদশাহ আলমগীরের উদারতার প্রশংসা করে শিক্ষককে সম্মান জানাতে ব্যবহৃত হয়।

বাদশাহ আলমগীরের পুত্রকে একজন মৌলবি পড়াতেন। একদিন বাদশাহ দেখলেন, শিক্ষক নিজের হাত দিয়ে পা ধোয়ার জন্য জল নিলেও তার পুত্র শুধু জল ঢেলেছে কিন্তু হাত দিয়ে পা ধোয়নি। শিক্ষকের এই সেবার অভাব এবং শিক্ষকের প্রতি বাদশাহর পুত্রের অসম্মান দেখে আলমগীর ব্যথিত হয়েছিলেন। এ কথা শুনে শিক্ষক তার মর্যাদা উপলব্ধি করে বাদশাহকে বলেন, আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির, সত্যই তুমি মহান উদার বাদশা আলমগীর। এই কবিতার মূল বিষয় হলো শিক্ষকের অসীম মর্যাদা, যা বাদশাহ আলমগীরের উদারতা ও মহানুভবতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কবি কাজী কাদের নেওয়াজ দেখিয়েছেন যে, একজন আদর্শ রাজা হিসেবে বাদশাহ আলমগীর শিক্ষকের মর্যাদাকে নিজের পুত্র থেকেও উঁচুতে স্থান দিয়েছিলেন।

শিক্ষক দিবসে সরকারের কাছে শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সুবিধা ও কাজের পরিবেশ উন্নত করার আবেদন জানানো উচিত, কারণ তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত ও গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

শিক্ষকগণের কদর বৃদ্ধিতে আমাদের যেমন সচেষ্ট থাকতে হবে। তেমনি শিক্ষকদেরও উপলব্ধি করতে হবে যে, একজন আদর্শ শিক্ষক কিরকম হবে অথবা আমরা কেমন শিক্ষক চাচ্ছি। আমি স্বয়ং কেমন শিক্ষক প্রত্যাশা করি নিম্নে আমার কাক্সিক্ষত শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি সংক্ষিপ্ত রূপে বর্ণিত হলো :

আমার শিক্ষক নিছক প্রশিক্ষক নন, তিনি একজন বন্ধু এবং পথপ্রদর্শক। তার শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কভু নীরস হয় না, পক্ষান্তরে সর্বদাই আমোদপ্রদ হয়। ব্যক্তিগতভাবে তিনি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ছোট ছোট বিষয়েও মনোযোগ রাখেন।তিনি আমাদের বোঝান যে, জ্ঞানার্জনের চেয়েও বড় হলো সেই জ্ঞানকে ভালো কাজে ব্যবহার করা। তিনি শুধু বইয়ের পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন না, বরং নীতি ও নৈতিকতার শিক্ষা দেন, তিনি নিজেও সৎ, নিষ্ঠাবান ও সময়ানুবর্তিতা মেনে চলেন। তার কাছে আমরা নিঃসংকোচে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরতে পারি এবং তিনি সব সময় সমাধানের পথ বাতলে দেন। তিনি সবসময় নতুন কিছু শেখাতে আগ্রহী। তার শেখানো প্রতিটি কথাই আমাদের জীবনে ধারণ করার মত । তার স্নেহপূর্ণ আচরণ এবং ধৈর্যশীল মনোভাব আমাদের ক্লাসের প্রতিও আগ্রহী করে তোলে। তিনি কেবল জ্ঞানই দান করেন না, বরং
জীবন গড়ার অনুপ্রেরণা জোগান। তিনি শিক্ষার্থীদের মাদকসহ ক্ষতিকর নেশা, ইভটিজিং, যৌতুক, কুসংস্কার, কিশোর গ্যাং, মব সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতেও প্রচেষ্টা গ্রহণ করে থাকেন।

শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। অধিক যোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েই নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষকদের প্রকৃত মান।

পরিশেষে, বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্তরের গহীন থেকে এই শিক্ষক দিবসে সিদ্ধান্তে উপনীত হই, আগামী দিনে শিক্ষকদের সম্মান, তাদের অধিকার রক্ষা করব এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত করব।

লেখক: প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক এবং প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক 
মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল। 


ডেল্টা টাইমস্/ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন/আইইউ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com