|
৬৩ আসনে সিদ্ধান্ত ঝুলে, কুমিল্লা-২ এ ‘যোগ্য বনাম জনপ্রিয়’ লড়াই
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহফুজুল ইসলাম ইতোমধ্যে বিএনপি গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তবে প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও স্থগিত থাকা ৬৩টি আসনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। পাশাপাশি জোটগত সমন্বয় ও আসন বণ্টন নিয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। স্থগিত থাকা আসনগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা প্রতিদিনই গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিড় করছেন। এসব আসনের মধ্যে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমীকরণ। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন—বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া,বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস ও সাবেক সচিব ইঞ্জিনিয়ার এম. এ. মতিন খান। তবে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহফুজুল ইসলাম। প্রবীণ এই নেতা ১৯৭৮ সালে জাগদল হোমনা প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মাহফুজুল ইসলামকে বিএনপির পাঁচবারের সফল এমপি মো. এম কে আনোয়ারের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং কৌশলী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনায় তার সফল অভিজ্ঞতাও রয়েছে। দীর্ঘ ৪৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ না থাকায় তৃণমূলে তিনি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, রাজনীতি করেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে বাড়ি-গাড়ির মতো সম্পদ গ্রহণ করেননি—যা তৃণমূল বিএনপির কাছে সততার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন তিনি। গত ৫ আগস্টের ঘটনার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে মনোনয়ন ফর্ম গ্রহণ না করলেও বর্তমানে সুস্থ হয়ে পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, কুমিল্লা-২ আসনে দলে বিভাজন বা কোন্দল এড়াতে চাইলে মাহফুজুল ইসলামকে মনোনয়ন দিলে বিএনপি এই আসনে আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |