দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ: ভূমি উপদেষ্টা
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ: ভূমি উপদেষ্টা রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অক্টোবর ২০২৫-এর কমিশনার সমন্বয় সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ডরা কেবল ভূমি প্রশাসনের কাজেই নয়, প্রশাসনের নানাবিধ দায়িত্বেও যুক্ত। দায়িত্ব যতই বহুমাত্রিক হোক না কেন, ভূমিসেবায় কোনো প্রকার গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ভূমি সংক্রান্ত সমস্যায় সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়, আর এই হয়রানি দূরীকরণই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি আরও বলেন, ভূমিসেবার মান যত উন্নত হবে, ততই সরকারের সাফল্য দৃশ্যমান হবে এবং জনগণের আস্থা আরও মজবুত হবে। তাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ভূমিসেবা প্রদান কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি নৈতিক কর্তব্যও। সভায় জানানো হয়, আগামী ৩০ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে নামজারির ভার্সন ২.১ সফটওয়্যার চালু করা হবে। পাশাপাশি চালু হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন করের অ্যাপস। অনলাইন ভূমিসেবা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। অনলাইনে ভূমিসেবা প্রদানে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে ৮ জন কর্মকর্তাকে সম্মাননা দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়। সভায় বিভাগীয় কমিশনাররা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কোনো জেলা পরিদর্শনে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃপক্ষের আগমনে পথিমধ্যে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান— এ প্রথা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যাঘাত ঘটায়। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এমন প্রথা অবশ্যই রোধ করতে হবে এবং বিভাগীয় কমিশনারদের এ বিষয়ে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও যোগ করেন, আমরা এমন ভূমি অফিস চাই যা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে— আধুনিক, সহজ ও স্বচ্ছ হবে। ভূমি অফিস হতে হবে জনগণের সেবার প্রকৃত কেন্দ্র। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, ২০ জুন থেকে ১২ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩০টি ই-নামজারি আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ৭২ শতাংশ মঞ্জুর হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন করের মোট দাবি ১,৪৪৪ কোটি ৪২ লাখ ২৬ হাজার ৩১৩ টাকা, যার মধ্যে আদায় হয়েছে ৩৩৯ কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ টাকা। এছাড়া ২ কোটি ১৯ হাজার ৫২০টি হোল্ডিং আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ৮৫.৬১ শতাংশ প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। সারা দেশে বর্তমানে ৬১ জেলায় ৮১৫টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |