অসহায় বন্ধুদের পাশে দাঁড়িয়েছে সারা বাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() ছবি সংগৃহীত শুক্রবার (১০ জুন) এমন আনন্দে মেতে উঠে ১৯৮৮ সালের এসএসসি পাস করা বন্ধুরা। প্রবাসী বন্ধুরাও ভার্চুয়ালি আনন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। সারা বাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশন ঢাকা উত্তর প্যানেল মিরপুর ডিওএইচএসে অভিনিউ গার্ডেনে এই জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকা উত্তর প্যানেলের কো-অর্ডিনেটর বিশিষ্ট শিল্পপতি হারুণ অর রশিদের তথ্যাবাধনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের এডমিন প্যানেলের সেলিনা চৌধুরী, শহিদুল হাসান মিঠু, এসএম সহিদ, সানি দে, তানভীর সোহেলসহ আরো অনেকে। ফেসবুক ও টুইটারসহ ভার্চুয়ালি আড্ডায় যোগ দেয় দেশ-বিদেশে থাকা বন্ধুরা। প্রথম দিনই অসহায়, অসুস্থ্য, বেকার বন্ধুদের তালিকা করা হয়। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। ১৯৮৮ সালের এসএসসি পাস করা বন্ধুদের আড্ডায় অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন পর ছোটবেলায় শৈশব-কৈশোর কালে ফিরে গেলাম। দীর্ঘ সময় কেটেছে গল্প, গান আর স্কুল জীবনের স্মৃতি চারণের মধ্য দিয়ে। এখন বুঝলাম বন্ধুত্বের জীবন কতই না মধুর। ফিরে গেলাম জীবনের সেই ফেলে আসা মুহূর্তে। সত্যি বন্ধুত্ব সম্পর্ক কখনোই বদলায় না, বদলায় সময়। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় মান অভিমানের কথাও উঠে আসে আড্ডায়। শিল্পপতি এক বন্ধুকে এক কর্মহীন বন্ধু আড্ডায় বলেন, অনেক দিন যোগাযোগ না থাকার কারণে হয়ত তুই রাগ করবি আমার ধারণা হয়েছে তুই অনেক বদলে গেছিস। এখনতো দেখছি বন্ধু তুই আগের মতোই আছিস। সারা বাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আয়ারল্যান্ড প্রবাসী কাজী মোস্তাক আহমেদ (ইমন) বলেন,এই ফাউন্ডেশনের কাজ হচ্ছে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাস করা ব্যাচের অসহায় বন্ধুদের পাশে দাঁড়ানো এবং দেশ ও জাতির জন্য কাজ করা। এটা সম্পূর্ণ ভাবে একটি স্বেচ্ছাসেবি মানবিক সংগঠন। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ফেসবুকে-মেসেঞ্জারে নানা ধরনের বন্ধু তৈরি হয়ে থাকে। এদের স্থায়িত্ব হয় একদিন, দুই দিন বা কয়েক মাস। বন্ধুত্ব হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই শিশুকাল থেকে বৃদ্ধাকাল পর্যন্ত জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহুর্তে বন্ধু তৈরি হতে পারে। তবে সেই প্রকৃত বন্ধু হলো স্কুলজীবনের বন্ধু। চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হয়না আসল প্রকৃত বন্ধুরা এটাই প্রমাণিত হয়েছে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ বন্ধুদের আড্ডায়। অনেকেই বলেন জীবনে যত বন্ধু আসবে স্কুল জীবনের বন্ধুরা হলো বেষ্ট। চিন্তা চেতনা হৃদয়জুড়ে আছে স্কুল জীবনের বন্ধুরা। বিশিষ্ট শিল্পপতি হারুণ অর রশিদ বলেন, একজন বন্ধু কতটা শিক্ষিত বা ধনী-গরিব তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছোট বেলায় আমাদের বন্ধুত্ব ছিল স্বার্থ এবং শর্ত ছাড়া। ঠিক তেমনি বন্ধুরা যত শিক্ষিত এবং অর্থে ধনী হোক না কেন, বন্ধু –বন্ধুই থেকে যায়। সময়ের ব্যবধানে কিছু বন্ধু আমদের স্ট্যাটাস বা চায়ের আড্ডায় স্থান পায় না। মহামারি করোনায় কারও চাকরি চলে গেছে, কারও বন্ধ হয়েছে ব্যবসা। নিজের সংকটের কথা কাউকে মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না উচ্চ, মধ্যম বা নিম্ন আয়ের বন্ধুরা। কেউ এখন পুরোপুরি বেকার, আবার কেউ ছোটখাটো কাজ জোটাতে পারলেও তাতে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না। এমন সব প্রাণের বন্ধুদের খেয়াল রাখা দরকার। বন্ধুত্বহীন জীবন সত্যি মূল্যহীন। ভালো বন্ধু আজীবনের সম্পদ। ফাউন্ডেশনের এডমিন প্যানেলের সেলিনা চৌধুরী বলেন, কবি উৎপলকুমার বসু আমাদের বন্ধুদের কথা মনে রেখেই একদা লিখেছিলেন- ‘বন্ধু তোমার হাতের উপর হাত রাখলেই আমি টের পাই তোমার বাজারে অনেক দেনা, ছেলেটা উচ্ছন্নে গেছে, মেয়ে রাত করে বাড়ি ফেরে, আজ যা-বলার আছে তুমি আমাকেই বলো, স্ত্রীর মুখরতার কথা বলো, সহকর্মীদের শঠতার কথা বলো, রাতে ঘুম হয় না সেই কথা বলো, আর যদি কাঁদতেই হয় তবে এই কাঁধে মাথা রেখে কাঁদো, বন্ধু।’ বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় মেলে। এক বন্ধু আরেক বন্ধুর আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ায়। এমন উদাহরণ সৃষ্টি করতে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ বন্ধুরা ‘সারা বাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশন’ গঠন করেছে। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |