প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
পেনশন বিড়ম্বনায় অবসরপ্রাপ্ত ৩০ হাজার কর্মচারী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() পেনশন বিড়ম্বনায় অবসরপ্রাপ্ত ৩০ হাজার কর্মচারী শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এই অভিযোগ উত্থাপন করে দূর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সারাদেশ থেকে আগত ভূক্তভোগী কর্মচারীরা। অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মামুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সমিতির সভাপতি মোছা. তহুরা খানম, অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ময়নাল হোসেন ভূইয়া, অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল মালেক প্রমূখ। সভাপরিত বক্তব্যে ডা. মো. মামুন চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন অন্যায়ভাবে কেটে রাখা হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ওই অর্থ ছাড়ের সুপারিশ করলেও তা নিয়ে দীর্ঘ দিন তালবাহানা চলছে। এতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে থাকার সময়ও আমরা সরকারি স্কেলভুক্ত ছিলাম। এরপর রাজস্ব খাতে যাওয়ার পর টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পেয়েছি। সরকার তার বিধিমালা অনুযায়ী দেওয়া সুবিধা তো কেটে নিতে পারে না। এই বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালের ২০ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিধিমালা জারি হয়। এতে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে নিয়মিতকৃত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর উন্নয়ন প্রকল্পে চাকরিকাল তার বেতন, ছুটি, পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধাদি প্রদানসহ উন্নয়ন ও রাজস্ব উভয়ের ভিত্তিতে চাকরিকাল গণনা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগের আলাদা দু’টি আদেশে শুধু রাজস্ব খাতের সময় গণনার কথা উল্লেখ করলে এই জটিলতা তৈরি হয়। অথচ অনেকেই ওই সুবিধা পেয়েছেন। বক্তারা আরো বলেন, সারাজীবন চাকরি করে পেনশন একজন কর্মচারীর অধিকার। অনেকে এই অধিকার পেয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তা দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশও করেছে। কিন্তু অর্থ বিভাগে গিয়ে আটকে গেছে। এই সংকট নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘উন্নয়ন প্রকল্প হইতে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা-২০০৫’ বিধিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |