নান্দাইলের প্রত্যন্ত গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রের বিসিএস স্বপ্ন পূরণ
এইচএম সাইফুল্লাহ,নান্দাইল (ময়মনসিংহ) :
|
![]() নান্দাইলের প্রত্যন্ত গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রের বিসিএস স্বপ্ন পূরণ সে এক কৃষক পরিবারের সন্তান। পড়ালেখা শুরু নিজ গ্রামের কাদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক পর্যায় শেষ করে নিভৃত গ্রামের কাদিরাবাদ আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম শেষ করেন। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ছিলো অধম্য ইচ্ছা। সেই ইচ্ছা পূরণের সাহস নিয়ে নিজ উপজেলার পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে সমাজকর্ম বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। অনার্স শেষ করার পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন অর্জন করেন তিনি। এরপর আর পেছনদিকে থাকাতে হয়নি তার। ২০১৬ সালে কর্মজীবন শুরু করেন নিজ উপজেলার জাহাঙ্গীর পুর আলিম মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর ২০১৮ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০২২ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। অদ্যাবধি সেখানেই কর্মরত আছেন তিনি। এরপরেও পিছু ছাড়েনি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বনের। অবশেষে ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষায় পূরণ হলো তার স্বপ্ন, হয়েছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার। মোয়াজ্জেম হোসাইন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কাদিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। পিতা আছমত আলী ও মাতা শাহিমা খাতুন দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে ৬ষ্ঠ সন্তান তিনি। পরিবারের সবার বড়ভাই সহকারী শিক্ষক মাওলানা হেলাল উদ্দিনের হাতে পড়াশোনার হাতেখড়ি। প্রচন্ড ইচ্ছা-শক্তিতে বলীয়ান বড়ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় তিনি শৈশবেই বড় স্বপ্ন দেখতে শিখেছিলেন। আর স্বপ্নের বাস্তবায়নে একটু একটু করে সামনে এগোচ্ছিলেন সেই ছোট বেলা থেকেই। তিনি বলেন, তার এই সফলতার পিছনের গল্প ছিল অনেক কণ্টকাকীর্ণ । প্রত্যন্ত গ্রামের মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করে সফল হওয়ায় অনেক আনন্দিত আমি। অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করি। ৪০ তম বিসিএস পরীক্ষায় ভাইবা দিলেও ক্যাডার পদে সুপারিশ পাইনি। এরপরেও চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি স্বপ্ন চূড়ায় পৌছার। আলহামদুলিল্লাহ, পৌঁছাতে পেরেছি। তিনি আরো জানান, তার এই সফলতায় পেছনে পিতামাতা ও সহকর্মীদের অনেক দোয়া ও অনুপ্রেরণা রয়েছে। স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর এই অর্জনে বড় ভূমিকা আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন ৩৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার সাবরিনা লিজা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসন নওগাঁ) আপুর প্রতি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা। যার অনুপ্রেরণা আমার এই সাফল্য অর্জনের সবচেয়ে বড় প্রভাবক। তিনি সবার দোয়া প্রার্থী। ডেল্টা টাইমস্/এইচএম সাইফুল্লাহ্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |