বাইডেনের মধুচন্দ্রিমায় অমাবস্যার হাতছানি
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৩৪ পিএম

বাইডেনের মধুচন্দ্রিমায় অমাবস্যার হাতছানি

বাইডেনের মধুচন্দ্রিমায় অমাবস্যার হাতছানি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি নিয়ে সুর পাল্টাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে নিজের দল ও সমর্থকদের মধ্য থেকে অব্যাহত চাপের মুখে বাইডেন তাঁর অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর প্রথমদিকে হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা যখন দ্রুত বাড়ার খবর আসছিল তখন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল বাইডেনকে। গাজায় অসংখ্য ফিলিস্তিনির মৃত্যু হচ্ছে এটা মানতেও কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলেন তিনি। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর দুই সপ্তাহ পর গত ২৫ অক্টোবর বাইডেন বলেন, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের যে সংখ্যা আমাকে জানানো হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের দেওয়া সেই হিসাবে আমার ভরসা নেই। আমি নিশ্চিত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বাধালে যে মূল্য চোকাতে হয় এটা হচ্ছে তাই-ই।ফিলিস্তিনের হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে বেশ বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অনেকেই ওই পোস্টের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যে চাপ বাড়ছে, তাতে নতি স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন হয়তো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ঘিরে নিজের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ও পেয়েছেন। সম্প্রতি এক্সিওস নামের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটে অলাভ জনক সংস্থা আরব-আমেরিকান ইনস্টিটিউটের একটি পরামর্শ তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের আরব বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাইডেনের জনপ্রিয়তায় নাটকীয় ধস নেমেছে।

এ বিষয়ে ইহুদি ধর্মযাজক রায়ে আবিলেয়াহ বলেন, সম্ভবত জনগণের আন্দোলন ও গণতন্ত্র কাজ করার কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। নির্বাচিত নেতাদের কাজ হলো তাঁদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা, যাঁরা গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন এবং যাঁরা এই জঘন্য সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এই সহিংসতা আমরা মুঠোফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি, যেমনটি আমরা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সহিংসতা দেখেছিলাম। গত ১৮ অক্টোবর তেল আবিবে গিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এভাবে জড়িয়ে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুঝিয়ে দেন, তাঁরা ইসরায়েলের পাশে আছেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ইসায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে ধরে গাজায় এনে জিম্মি করেন হামাস সদস্যরা। অন্যদিকে ইসরায়েলের বোমার আঘাতে নিহত হন প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এর মধ্যে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় তিন দফায় যুদ্ধবিরতি পালিত হয়েছে।চুক্তির শর্ত হিসেবে হামাস ও ইসরায়েল দুপক্ষই জিম্মি ও বন্দী বিনিময় করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে বাইডেনকে এমন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে হয়েছে, যিনি নিজের নৈতিকতা, ইসরায়েলের প্রতি দীর্ঘদিনের সমর্থন এবং নির্বাচনের আগ দিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করার মতো বিষয়গুলো সামাল দিতে গিয়ে চাপে আছেন। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের মেয়াদকালের অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে গাজা সংঘাত কীভাবে মার্কিন প্রশাসনকে বেশি নাড়া দিয়েছে। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বাইডেনের একটি মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ফিলিস্তিনিদের হতাহতের তথ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, গাজায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা সত্যি বলছেন কি না, সে বিষয়ে তাঁর ধারণা নেই। পরদিনই ওই মন্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ মুসলিম নেতার অভিযোগের মুখে বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি দুঃখিত। আমি নিজেই হতাশ। ভবিষ্যতে ভালো করার চেষ্টা করব।’ বাইডেনের নীতি নিয়ে হোয়াইট হাউসে বিভক্তির খবর সম্প্রতি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, বাইডেনের নীতি নিয়ে তাঁর দীর্ঘদিনের সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের কথা। এমনকি হোয়াইট হাউসের অনেক তরুণ, বিশেষ করে আরব ও মুসলিম বংশোদ্ভূত কর্মীরা জানিয়েছেন, যে প্রেসিডেন্টের জন্য কাজ করছেন, তাঁর প্রতি তাঁরা সন্তুষ্ট নন। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে গাজা সংঘাত নিয়ে বাইডেনের সুর বদলেছে। প্রথম দিকে তিনি যা বলেছিলেন, সেভাবে ইসরায়েলের পক্ষে আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেননি। পরে এসে সেই বাইডেনই গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলছেন। হোয়াইট হাউস এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে তারা দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে না। অনেকেই বলাবলি করছেন যে বাইডেনের দিন শেষ হয়ে আসছে। তবে বাইডেনের টুইটে ইসরায়েলের প্রতি তাঁর সমর্থন হালকা হয়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম জিউস ইনসাইডারকে বলেন, বাইডেন বোঝাতে চেয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা ত্যাগ করতে পারি না। হোয়াইট হাউসের এই বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দল জাস্টিস ডেমোক্র্যাটসের নেতা উসামাহ আন্দ্রাবি। তিনি বলেন, ডেমোক্রেটিক মতাদর্শের লোকজন বাইডেন প্রশাসনের কাছে যুদ্ধবিরোধী ও শান্তির পক্ষের পদক্ষেপ চায়।

তবে হোয়াইট হাউস তা সামান্যও করে দেখাতে পারেনি। ডানপন্থীদের চাপের কারণে নিজের ভোটারদের বড় অংশের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বাইডেন। এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাওয়ার শর্তে তাঁরা উপত্যকাটি ঘিরে ইসরায়েলের নীতি পরিবর্তনের কথাও বলছেন। দলে বাম ঘরানার অনেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে পাশে থাকায় বাইডেনের নিন্দা করেছেন। এতে করে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে বিভক্তি ঠেকানোর মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন বাইডেন। এ নিয়ে ওয়াশিংট ভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইথিকস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি সেন্টারের গবেষক হেনরি ওলসেন বলেন, যুদ্ধবিরতি ও হামাসকে নির্মূল করা-এ দুয়ের মধ্যবর্তী কোনো অবস্থান নেই। তাই প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের যখন তখন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে দেশের ভেতরে তাত্ত্বিক আলোচনা চলছে। কথাবার্তা হচ্ছে নীতি নির্ধারণী পর্যায়েও। বিশেষ করে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ছাড়া রাষ্ট্র কিংবা জাতি গঠনের ব্যাপারে দেশটির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলা হচ্ছিল। দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে শেষ পর্যন্ত বাইডেন ৩১ আগস্ট সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আফগানিস্তান থেকে নিজেদের শেষ সৈন্য ও কূটনীতিককে কাবুল থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সৈন্য প্রত্যাহারের এই প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনার মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের একদিন পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার এই সিদ্ধান্তের জন্য আমেরিকার জনগণ তাকে মনে রাখবে এবং যেভাবে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে সেটা আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের সঙ্গে, বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারি আমেরিকার অর্থনৈতিক সুরক্ষার অন্যতম ভিত্তি। একই সঙ্গে চীন যে কায়দায় বাণিজ্য চর্চা করছে, তা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ থাকলেও, সে উদ্বেগ পশ্চিমকে চীন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিকে নেবে না। বাইডেনের নীতিকৌশলের যে বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগের, তা হলো আমেরিকান পণ্য কিনুন শীর্ষক বিধানে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য ভর্তুকি এবং সংরক্ষণবাদ নিশ্চিতের ওপর মাত্রাতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। বাইরের বৃহৎ বাণিজ্য শক্তি মোকাবিলা ইস্যুতে ভর্তুকির ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় সবার সায় থাকলেও বাইডেনের সংরক্ষণবাদ দিন শেষে ভুল প্রমাণিত হবে। এই প্রেসিডেন্টই কিছুদিন আগে রাশিয়ার নির্দয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। অথচ তিনিই গাজা ও গাজার বাইরে ইসরায়েলের বর্বর হামলার পক্ষে দাঁড়ালেন। আরও চোখে লাগল, যখন এই প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনি শিশু, অসুস্থ ও বৃদ্ধদের ওপর তাঁর মিত্র ইসরায়েলের হামলার প্রশংসা করে সাফাই গাইলেন। বাইডেনের এই কপটতা ও গোঁয়ার্তুমি শুধু মানুষকে আহত করেনি, নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্যের মানুষকে ক্ষুব্ধও করেছে, বিশেষ করে তরুণ ডেমোক্র্যাট ও আরব-মার্কিনদের। এই ক্ষোভ-দুঃখকে সঙ্গে করে কমান্ডার ইন চিফকে নির্বাচনে দাঁড়াতে হবে, যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর এক বছরও সময় নেই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটা ভোটের ফলে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়। তা হলো বাইডেন ও তাঁর একচোখা পারিষদেরা ইসরায়েলের প্রতি শর্তহীন সমর্থনের প্রভাব কতটা গভীর হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা করে উঠতে পারেননি। যেমন তাঁরা বুঝে উঠতে পারেননি, একজন প্রযুক্তিবান্ধব ও কৌশলী রাজনীতিককে আলিঙ্গনের ফল কেমন হতে পারে। কারণ, ওই রাজনীতিককে লাখ লাখ ইসরায়েলিই পছন্দ করেন না। বাইডেন প্রশাসনের ধারণা ছিল, ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ইসরায়েলকে যে কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাবে সবাই।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সনদের বাইরে গেলেও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানানো হবে ইতিবাচক।আদতে বাইডেনের প্রতি আরব-মার্কিনদের সমর্থন এখন দ্রুত উবে যাওয়ার পথে। এই আলিঙ্গনের প্রেক্ষাপটে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে বাইডেনের জনপ্রিয়তা এখন ৪০ শতাংশে নেমেছে। ক্ষমতায় আসার পর তাঁর জনপ্রিয়তার হার এখন সর্বনিম্ন। ভোটাভুটির আয়োজকেরা বলেছেন, বাইডেনের এই আলিঙ্গন এবং হামাসকে ধ্বংসের নামে নেতানিয়াহুর যে ভয়ংকর যুদ্ধ ও হত্যা, তার প্রতি সমর্থনকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মেনে নিতে পারেননি। বাইডেন ও তাঁর শিবিরে যাঁরা পরিস্থিতিকে প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন, তাঁরা ইসরায়েলকে শর্তহীন সমর্থনের রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে এখন বুঝতে শুরু করেছেন। 

ক্ষোভ ও অসন্তোষের মুখে বাইডেন সম্প্রতি নিজেকে একজন ন্যায়পরায়ণ আপসকারী হিসেবে প্রমাণের কসরত শুরু করেছেন। যুদ্ধের প্রভাব ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের ওপর সমানভাবে পড়েছে, এটা তিনি অনুধাবন করছেন-এমন একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে। কিন্ত ঘটনার আসল বিষয় বুঝে গেছে মানুষ। ট্রাম্পের শেষ দিনগুলোতে পররাষ্ট্র নীতিতে তিনি এমন কিছু মৌলিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যা জো বাইডেনকে নিশ্চিতভাবে ভোগাবে বলে মনে করছিলেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ক্ষমতার একবারে শেষ সময়ে চীন, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে এমন কিছু সিদ্ধান্ত মাইক পম্পেও দিয়েছেন যার পরিণতি জো বাইডেনকে ভোগ করতে হবে। আর সেটাই হয়তো আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।



লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com