বিদেশনীতি পরিবর্তনে মধ্যপ্রাচ্য কতটা সফল হবে
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:৩০ এএম

বিদেশনীতি পরিবর্তনে মধ্যপ্রাচ্য কতটা সফল হবে

বিদেশনীতি পরিবর্তনে মধ্যপ্রাচ্য কতটা সফল হবে

সৌদি আরব প্রায় এক দশক ধরে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে অসংযম, ভুল হিসাব এবং বিদেশের মাটিতে অতর্কিতে ধ্বংস চালানোর নীতি অবলম্বন করে আসছে। সৌদি আরবের কাছে এ শান্তি প্রক্রিয়া তাই তাদের সেই পররাষ্ট্রনীতির লাগাম টেনে ধরার বড় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে। ১৯৩২ সালে সৌদি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটির কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি সাবধানতা অবলম্বন করে চলেছে। আঞ্চলিক ক্ষমতায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সৌদি আরব স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নীতিতে চলেছে।আন্তর্জাতিক মঞ্চে সৌদি আরবের পুনর্জাগরণ দেশটির উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি সমাজ ও অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।একই সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের গুরুত্ববহ করে তোলার উদ্যোগ খুব পরিষ্কার। সৌদি আরব ক্রমে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সম্পদ ও ধর্মীয় কারণেই সৌদি আরবের অবস্থান এখন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কারণ, হোয়াইট হাউস প্রশাসনের নজর এখন চীন ও রাশিয়ার উত্থানের দিকে। এই সুযোগে সৌদি আরবও স্বতন্ত্র পথ খুঁজে নিয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সৌদি আরব থেকে চীনের তেল আমদানির পরিমাণ বেশি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সৌদি আরব ও চীন দ্রুত নিজেদের সম্পর্ককে ঝালিয়ে নেয়। যদিও জ্বালানি খাত থেকেই দেশ দুটির মধ্যে অংশীদারত্বের সূচনা, দ্রুতই তা আরও বিস্তৃত হয়। চীন ব্যাপকভাবে সৌদি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। সৌদি আরবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক সুবিধা চালুতে হুয়াওয়েই ভূমিকা রেখেছে। সৌদি গ্রিনফিল্ড প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত মাসে দেশ দুটি সাত বিলিয়ন ডলার নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করেছে। ২৬ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৫০ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান বিনিময়ের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তার ঘটেছে।

যদিও বহুপক্ষীয় বিশ্বব্যবস্থায় সৌদি আরবের কূটনৈতিক নীতির যে পরিবর্তন, তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা নেই। পশ্চিমের সঙ্গে সখ্য রেখে সৌদি আরব এখন প্রাচ্যে প্রভাব বাড়াতে চাইছে। গত কয়েক মাসে সৌদি আরবের কূটনৈতিক মানচিত্রের দিকে তাকালে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সৌদি আরবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ বরাবরই সম্মানজনক। বাদশাহ ফয়সাল দীর্ঘদিন এই মন্ত্রণালয় সামলেছেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে প্রিন্স সৌদ বিন ফয়সাল পররাষ্ট্রনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনেন। প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এখন দায়িত্বে আছেন। উদ্যমী এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্ব সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলে বেশ সাহসী কিছু পরিবর্তন এনেছে। আরব বিশ্ব যেখানে কিছুটা ম্রিয়মাণ,সেখানে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে, কিংবা কায়রোয় নিজের দেশকে উপস্থাপন অথবা প্যারিসের এক্সপোতে গিয়ে সফল হয়েছেন। সৌদি আরব যখন ভূরাজনীতিতে ক্রমে স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন চীন তার দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। চীনের দূতিয়ালিতে সৌদি আরব এখন ইরানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে। আবার ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে গত মাসে প্রিন্স ফয়সালসহ চারজন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিং সফর করেছেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এই বার্তা দিয়েছে যে তারা নতুন নতুন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে সৌদি আরব একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপনে জোর দিচ্ছে। ভারতে জ্বালানি সরবরাহে সৌদি আরবের অবস্থান তৃতীয়। সেদিক থেকে দুই দেশের জন্যই দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল ২০১৯ স্থাপনের পর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দুবার ভারত সফরে গেছেন। গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতেও ভারতে যান তিনি।সেখানেই ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ করিডরের ঘোষণা আছে। এই প্রকল্পের আওতায় মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ভারত ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার কথা।

ওদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রিড কানেকটিভিটিকে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এর বাইরেও স্টার্টআপ, শিক্ষা, ডিজিটালাইজেশন, সমরাস্ত্র নির্মাণ, ভারতের পশ্চিমে পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপনে সৌদি আরামকো বিনিয়োগ করেছে। সৌদি আরব এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডে তার সংরক্ষিত অর্থ ভাঙিয়ে ফেলছে। পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থার বাইরে গিয়ে তারা এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। সৌদি কূটনীতির পরিবর্তনের অন্যতম নির্দেশক হলো গত আগস্টে দেশটির ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়া। আমরা জানি, ব্রিকসের সদস্য হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, ইরান, আর্জেন্টিনা ও ইথিওপিয়াকে যুক্ত করায় ব্রিকস এখন ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে। আগামী তিন দশকে এই দেশগুলোয় সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এই জোটে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে। একই সঙ্গে আরব বিশ্বে তাদের শক্তিমত্তারও জানান দিয়েছে। এ তো গেল মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে সৌদি আরবের কূটনৈতিক তৎপরতার প্রসঙ্গ। আরব ও মুসলিম বিশ্বেও সৌদি আরব এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আফ্রিকা ও আরবের কোনো স্থায়ী প্রতিনিধি নেই। গাজায় ইসরায়েল সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে আব্রাহাম অ্যাকর্ড থেকে বেরিয়ে আসায় সৌদি আরব প্রশংসিত হয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরবে আরব, ইসলামিক ও আফ্রিকান সম্মেলন প্রমাণ করেছে, মুসলিম বিশ্বের একতাবদ্ধ হওয়া এখন কতটা প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন কূটনৈতিক নীতি সংকটে পড়ে। যদিও সৌদি আরবের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পুরো বদলে গেছে, এমনটা বলার সময় এখনো আসেনি।

বিদেশনীতি পরিবর্তনকে ঘিরে দেশটির যে তৎপরতা, তাকে স্বাগত জানানো উচিত। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। প্রস্তাবিত চুক্তিতে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে কিছু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং এর বিনিময়ে আরবের কাছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চাওয়া হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি আনার চেষ্টা হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ ধরনের চুক্তি এই অঞ্চলকে অধিকতর মেরুকরণ, প্রক্সি সংঘাত ও অধিকতর জনদুর্ভোগের দিকে পরিচালিত করবে বলে মনে হচ্ছে। যে কারণে বাইডেনের কথা শুনছে না সৌদি আরব এ বিষয়ে আগ্রহী আমেরিকান পর্যবেক্ষকেরা ইতিমধ্যে উদ্যোগটির জন্য বাইডেনপ্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা ‘বিশ্বের দুজন সবচেয়ে কম বিশ্বস্ত নেতার’ মধ্যকার চুক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের স্বাভাবিক- করণ যদি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে কোনো ভিন্নতা না আনে, তাহলে কেন বাইডেন প্রশাসন এমন একটি ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ চুক্তি করবে, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এর ছোট জবাব হলো: চীন, ভূরাজনীতি এবং অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের নির্বাচন। কৌশলগত কারণে বাইডেন প্রশাসন পশ্চিম এশিয়া ও বিশেষ করে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। চীনের এই প্রভাব বিস্তারের কাজটিকে সহজতর করে দেওয়ার জন্য বাইডেন সৌদি আরব ও ইসরায়েল উভয়ের প্রতিই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

গত বছরের শেষ ভাগে সৌদি আরব চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বিরাট আয়োজন করে অভ্যর্থনা দেওয়ায় এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে ইসরায়েলের আগ্রহের কথা কানাঘুষা হওয়ায় ওয়াশিংটন বিশেষভাবে বিরক্ত হয়েছে। সৌদি আরব ও ইসরায়েল উভয়কেই মার্কিন ভূরাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অবস্থায় আনতে এবং চীন ও রাশিয়া থেকে তাদের দূরে রাখতে বাইডেন তার পুরোনো নীতি অনুসরণের কথা বিবেচনা করছেন। বিশেষ করে হাইটেক, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানির ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যাতে সৌদি ও ইসরায়েলের সম্পর্ক জোরদার না হতে পারে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতা সীমিত করতে সৌদি আরব যাতে বাধ্য হয়, সে জন্য ওয়াশিংটন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস এমন সময় হামলা চালিয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে কাজ করছিলো সৌদি আরব ও ইসরায়েল। গত সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে রিয়াদে এসে কথা বলে গেছেন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারাও। এর আগে আমেরিকার তত্ত্বাবধানেই ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেছে আরব বিশ্বের আরেক প্রভাবশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সমঝোতা বা চুক্তি স্বাক্ষরের সফলতা অর্জন করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন। তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে সৌদি আরব। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তার দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাভাবিক জীবন যাপনের অধিকার রক্ষা, তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শাসক পরিবারগুলো ক্ষমতার প্রশ্নে কোন ধরনের আপোষ কখনোই করে না। আবার এসব দেশে গণতন্ত্র বা জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থাও কাজ করে না। তারপরেও অনেকেই মনে করেন লিবিয়া ও সিরিয়ার ঘটনার পর আরব দেশগুলোর রাজপরিবারগুলো নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। মুসলিম দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ জটিল রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পাশ্চাত্য নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারছে না। গত দশকে চীনের কৌশলনীতি সৃজনশীল ও আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠে। সৌদি আরবের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনার ঘটনা এর একটি দৃষ্টান্ত। চীন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রধান ক্রেতা হয়ে থাকতে চায়নি। এর পরিবর্তে নিজেদের পণ্য, শ্রমিক ও প্রযুক্তির বড় বাজার হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যকে গণ্য করছে বেইজিং। বিনিয়োগ ও দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ভবিষ্যৎ অর্থনীতির সঙ্গে নিজেদেরকে বিজড়িত করেছে চীন। অর্থনৈতিক অংশীদার ও কূটনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। এর ফলে ওয়াশিংটনের জন্যও চ্যালেঞ্জটা বড় হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে খুব সচেতনভাবে বেইজিং সম্পর্ক গভীর করতে মনোযোগী হওয়ায় ইউক্রেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের চেয়েও মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জটা কঠিন হয়ে পড়ছে।

                                                                                                     লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/জেএইচ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com