তরুণদের আস্থার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৩৫ এএম

তরুণদের আস্থার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে

তরুণদের আস্থার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে

মানুষ জন্মগতভাবে সংগ্রামী। সে অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে না পারলেও মনে মনে কষ্ট অনুভব করে। সংঘবদ্ধ হলে প্রতিরোধ করে। কিন্তু রাজনীতি বিমুখ এই তারুণ্য বা যুবশক্তি কি সংগ্রাম বিমুখ। গত কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা বলে, না। তরুণরা রাজনৈতিক সংগঠনবিমুখ তবে সংগ্রাম বিমুখ নয়। তারা লড়াই করে তবে সংগঠন করে না। লড়াই করতে গিয়ে সংগঠন গড়ে তোলে। তবে সেখানে আদর্শ-উদ্দেশ্য খুব সুদূরপ্রসারী হয় না। আন্দোলন সংগ্রামের উর্বর ভূমি বাংলাদেশ। দুইশত বছর ইংরেজ শাসনের ভয়াবহতার কথা পঠিত বা আলোচিত হতে থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের কথা তেমন একটা আলোচিত হয় না। আগামী প্রজন্ম সেই অদম্য লড়াইয়ের কথা জানুক তা কোনো ক্ষমতাসীনরাই চায়নি। ফলে সংগ্রামের মাঝে মানুষের সব রকমের মুক্তির পথের দিশা, এই উপলব্ধি বোধ হারিয়ে তরুণ প্রজন্ম দ্বারস্থ হচ্ছে-দিশাহীন চিন্তায়। পূর্ব পুরুষদের অপ্রতিরোধ্য লড়াইয়ের ফলাফল আজকের সমাজ। সেই লড়াইয়ের উত্তাপে ভবিষ্যৎ গড়বে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন সংগ্রামের পথ রচনা করবে। তাই মানব জীবনের ধর্ম।এত সংগ্রাম,এত লড়াই ও এত আত্মত্যাগের ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরবে কারা? প্রশ্নটার জবাব খুবই সহজ। তবে আজকের প্রেক্ষিতে তার জবাব খুবই কঠিন। কারণ মানুষ সবকিছু করতে চায়। যেমন সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চায়, বৃদ্ধ পিতা-মাতার দায়িত্ব নিতে চায়, কিছু মানবিক কাজও করতে চায়। কিন্তু যেটা করতে চাওয়া দরকার সেই রাজনীতিই মানুষ করতে চায় না। একটা সমাজে অবস্থিত বাস্তবতায় রাজনীতি দুটো রাস্তা ধরে হেঁটে যায়। এর অবস্থান পাশাপাশি হলেও কেউ কারো পরিপূরক নয়। সম্পূর্ণ আলাদা। এক পথে আছে দেশপ্রেম,সাম্যের চেতনা, মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ, দেশ ও দশকে জানা। অন্য পথে আছে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি। এক পথ এগিয়ে গেলে আরেক পথ পিছিয়ে পড়ে।

আজকের সময়ের বাস্তবতায় দ্বিতীয় পথটি নির্বিঘ্নে এগিয়ে গেছে বহুদূরে। ঘৃণিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত ও দুর্দশার রাজনীতির এই পথে তরুণরা আর আসতে চায় না। নানা দিক থেকেই আমাদের অর্জনের অনেক জায়গা আছে। সাধারণভাবে জিডিপির অংকে বললে অনেক দূর এগিয়েছি। সেই ৯০ টাকা মাসিক উপার্জন থেকে আমরা এখন গড়ে ২৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছি। প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে উপার্জনে। আগে যেখানে ১ টাকা আয় হতো সেখানে তার বিপরীতে আমাদের আয় ২৮২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক বিচারে অনেক বড় অংকের টাকাই বলা চলে। আমাদের থেকে অর্থনৈতিক ভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকা দেশকেও আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পেছনে ফেলেছি।যেমন আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, ভারতের চেয়ে আমাদের পার ক্যাপিটা ইনকাম ৩০০ টাকা বেশি। এ আর্থিক অবস্থা অনেকের কাছেই ঈর্ষান্বিত হওয়ার মতো। কেননা এ অঞ্চলে আমাদের চেয়ে বেশি আয় কেবল মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার। এমনকি মিয়ানমার থেকেও আমাদের আয় বেশি! ইতিবাচক ব্যাপারগুলো নিয়ে বলতে হলে আরো বলতে হয় যে স্বাধীনতার পর আমাদের দারিদ্র্য হার ছিল ৮২ শতাংশ, যা এখন ২১-২২ শতাংশে নেমে এসেছে। কত লোক না খেয়ে থাকত-এমন লোকদের বিবেচনায় আনলেও তিনবেলা না খেয়ে থাকতে পারা লোকের হারও এখন মাত্র ১১ শতাংশ! পরিবর্তনের ছাপটা আসলে দৃশ্যমান এবং এগুলো উন্নয়নের চিহ্ন বহন করে।সংকটের দিক বলতে গেলে, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বেশ বেড়েছে। শঙ্কার বিষয় হলো, এত ধনী হলাম অথচ ধনী লোকেরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে! এভাবে ধনী ও তরুণ অংশের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কোনো ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। বিরোধী পক্ষের ধনীরা তো ভয় পাচ্ছেই, সরকার পক্ষের লোকজনও ভয়ে আছে। অর্জনের পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালানোর অনেক নেতিবাচক দিক থাকতে পারে যা আমাদের চিন্তায় ফেলার মতোই বিষয়।

সাফল্যের দিকে তাকালে, শিক্ষায় গড়ে ভর্তি বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি শিশুই স্কুলে যায়। তবে শিক্ষার মান কমে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তিতে অনেক এগিয়েছি কিন্তু মানে এগোয়নি। আমরা অর্থনীতিতে বিশ্বের ৩৫তম দেশ হলেও উদ্ভাবন সূচকে ১৪০তম। বোঝাই যাচ্ছে, শিক্ষার মানে দিনদিন পিছিয়েছি। নতুন উদ্ভাবনের পরিপ্রেক্ষিতে এগোতে না পারলে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা ব্যর্থ বলে গণ্য হব। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা খড়কুটোর মতো ভেসে বেড়াব, যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের দরকারি জায়গা গুলোয় দৃষ্টিপাত না করতে পারি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার, না হলে গ্রামের মানুষের শহরে ছুটে আসা আর শহরের মানুষের বিদেশে পাড়ি দেয়া থামিয়ে রাখা যাবে না। কিন্তু ১৭ কোটি লোক ঢাকাকেন্দ্রিক চিকিৎসা নিয়ে পড়ে থাকবে, এটা ভালো লক্ষণ নয়। শুরুতে কোয়ান্টিটি বা সংখ্যাগত দিক থেকে এগোনো প্রয়োজন ছিল। সংখ্যাগত জায়গায় উন্নতি করতে না পারলে আসলে পরবর্তী ধাপে যাওয়া যায় না। এখন আমাদের পরবর্তী ধাপে যেতে হলে পলিসিগত পরিবর্তন দরকার। যে পলিসিতে আমরা কোয়ান্টিটি বাড়িয়েছি একই পলিসিতে আমরা কোয়ালিটি বা গুণ বাড়াতে পারি না। যেভাবে চলছি সেভাবে হবে না। শিক্ষার মানোন্নয়নে আমাদের কোয়ালিটিটিভ পরিবর্তন আনতে হবে।অর্থনীতিতে একটা দেশ বিশ্বের ৩৫তম দেশ, অথচ গবেষণায় অর্থ খরচ করে না। তাহলে কীভাবে কোয়ালিটি বাড়বে? ইনোভেশন না থাকলে কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না। উন্নত জাতিতে পরিণত হতে হলে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর মতো ভাবতে হবে। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত চীন আমাদের সমপর্যায়ে ছিল,দক্ষিণ কোরিয়া এখন স্যামসাংয়ের মালিক অথচ একসময় তারা আমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক দৌড়ে ছিল। সবই সম্ভব হয়েছে তাদের নতুন উদ্ভাবনের ফলে। তাই আমাদের ফোকাসও চেঞ্জ করতে হবে।

পর্যাপ্ত উদ্ভাবন ও গবেষণায় সেটা সত্য হলেও এভাবে দেখার দরকার নেই। বুয়েটকে আমরা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ্য করলেও এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাও দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষার মান এভাবে চিন্তা করলেও কিন্তু বাড়ছে না।শিক্ষিত শ্রেণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিতে পাবলিক ও ইকোনমিক পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশের ধনীরা দেশ ছেড়েই চলে যাচ্ছে। কারণ তারা এখানের রাজনীতিতে আস্থা পাচ্ছে না। দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকে তাহলে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ীরাই দেশে থাকার আস্থা পাবে না।আর এ বিষয়গুলো খোলামেলা ভাবেই হচ্ছে,লোক চক্ষুর আড়ালে হচ্ছে না। সরকারি দলের লোকজনই অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বিদেশ চলে যাচ্ছে।এমনটা হলে অন্যরা কীভাবে আস্থা পাবে? এজন্যই বলি,দেশে আইনের শাসন জারি রাখা প্রয়োজন। তাহলে মানুষ রাজনৈতিক আস্থা পাবে। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, আমাদের দেশের যেসব লোকজন ইউরোপে থাকে তারা সেটা নিয়ে প্রাউড না? অন্য দেশে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে কে থাকতে চায়? কিন্তু তারা দেশে আসতে ভয় পাচ্ছে। তার কারণ সেখানে আইনের শাসন রয়েছে, বাংলাদেশে নেই। কোনো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আইনের শাসন জরুরি উপাদান। অন্যথায় কেউই দেশে কিছু করার আস্থা পাবে না। যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী হবে এটা বলা মুশকিল। এটা শ্রীলংকা হবে নাকি সিঙ্গাপুর হবে তা বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে দেশে যদি আইনের শাসন থাকে, দল-মত নির্বিশেষে সবাই আস্থা পায়। অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে হলে এ আস্থার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই এমন যে, ভুল স্বীকার দূরের কথা, রাজনীতিকরা বিশেষ করে ক্ষমতায় যারা থাকে তারা যেন সকল ভুলের ঊর্ধ্বে। তারা যা খুশি তা করতে পারে। এর ফলে যা হচ্ছে, রাজনীতি জনসেবার পরিবর্তে আত্মসেবায় পরিণত হয়েছে।

নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের রাজনীতির প্রতি মেধাবী তরুণদের আগ্রহ থাকবে কেন? শুধু তরুণ মেধাবী শ্রেণীই নয়, অতি সাধারণ মানুষও এ ধরনের রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তারা ভাল করেই জানে, দেশের রাজনীতি স্বার্থবাদিতার মধ্য দিয়ে চলছে। এখানে ক্ষমতায় থাকার জন্য শক্তি প্রয়োগ করা হয়, জনগণের মতামতের তোয়াক্কা করা হয় না। জনসাধারণের ভাল-মন্দ বা মতামতের উপর নির্ভর করছে না। বরং তাদের ভাল-মন্দ ও মতামত জনসাধারণের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র নয়, দলতন্ত্র, গোষ্ঠীতন্ত্র প্রাধান্য পাচ্ছে। যে রাজনীতিতে জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে না, সে রাজনীতি দেশকে এগিয়ে নিতে পারে না। এ পরিস্থিতির অবসান হওয়া জরুরি। শিক্ষিত তরুণদের নার্ভ ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদলগুলোর উপলব্ধি করা অপরিহার্য। দেশের ভবিষ্যত যাদের উপর নির্ভরশীল এবং যারা সত্যিকার অর্থে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সক্ষমতা রাখে, সেই শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের দেশের সম্পদ ভেবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। তা নাহলে, দেশে সুস্থ্য রাজনীতি, সুশাসন, সমাজনীতি এবং গণতন্ত্র যেমন ভিত্তি লাভ করবে না, তেমনি টেকসই উন্নয়নও হবে না। স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন তাৎক্ষণিক অবস্থার একটা সমাধান আনতে পারে। তবে ব্যবস্থার বদল ঘটাতে পারে না। কিংবা জনগণের মধ্যে আন্দোলন গড়ে ওঠার পূর্বে সে বিষয়ে যৌক্তিক বিশ্লেষণ দাঁড় করানো ও তার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক হাজির করার জন্য সংগঠন অতি গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে যে সমস্ত আন্দোলন শাসকের পরিবর্তে শাসক নয়। বরং ব্যবস্থা বদল করেছে। তার পেছনে ছিল সংগঠনের দীর্ঘদিনের শ্রম, ঘাম ও রক্ত। তাই সংগঠন ও অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ।

তরুণদের রাজনীতি বিমুখিতা কোন পথে নিয়ে যাবে আমাদের ভবিষ্যৎকে? এর সহজ জবাব হলো এক প্রতিবাদহীন মেনে নেওয়া বা মানিয়ে নেওয়ার সমাজের দিকে নিয়ে যাবে বাংলা দেশকে। আশার কথা হলো, তরুণরা সংগ্রামবিমুখ নয়। সংগ্রাম করতে করতেই খুঁজে নিবে তাদের রাজনীতিক ভবিষ্যৎ। অথবা দেশপ্রেম, সাম্যের চেতনা, মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ, দেশ ও দশকে জানা সংগঠনগুলো পুনরায় নতুন শক্তি ও নতুন উদ্যম নিয়ে অভ্যন্তরীণ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলেই তরুণদের আস্থা ও ভরসার স্থান হয়ে উঠতে পারে।

                                                                                                   লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/জেএইচ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com