এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
মাদকাসক্ত চালককে দিয়ে বাসটি চালানো হয়: হাইওয়ে পুলিশ
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() মাদকাসক্ত চালককে দিয়ে বাসটি চালানো হয়: হাইওয়ে পুলিশ এদিকে ওই দুর্ঘটনায় চাপা দেওয়া সেই বাসের মালিক ডাব্লিউ বেপারীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে হাইওয়ে পুলিশ। ওই দুর্ঘটনায় নিহত আমেনা বেগমের ভাই নুরুল আমীন বাদী হয়ে শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় বাস মালিককেও আসামি করা হয়। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন। তিনি জানান, হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে। এর আগে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক নুরুন্নবীসহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও হাইওয়ে পুলিশ। শুক্রবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য দাঁড়ানো প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসকে পেছন থেকে চাপায় দেয় বেপারী পরিবহনের বেপরোয়া ওই যাত্রীবাহী বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই বাইকে থাকা এক শিশু নিহত হয়। আহত অবস্থায় আটজনকে ঢাকার হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও চারজন মারা যান। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, মাওয়াগামী প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে বেপারী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল দুমড়ে মুচড়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি আ. ক. ম আক্তারুজ্জামান বসু মিয়া জানান, গ্রেপ্তার বাস চালককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণহীন ছিল। তবে আরও কোনো কারণ আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। ওই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রাইভেটকারের যাত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)। এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |