|
টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর শ্যামলী পার্ক মাঠে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। ধরার সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন— অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার (চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ),এ এস এম বদরুল আলম (সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন), মীর মোহাম্মদ আলী (সহকারী অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), নিখিল চন্দ্র ভদ্র (সমন্বয়ক, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন), ইকবাল ফারুক (ম্যানেজার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ), হাবিবুর রহমান (চেয়ারম্যান, সচেতন ফাউন্ডেশন), ফয়সাল আহমেদ (সম্পাদক, রিভার বাংলা), রাওমান স্মিতা (চেয়ারপারসন, গ্লোবাল ল’ থিংকারস সোসাইটি - জিএলটিএস), আল-ইমরান (কর্মকর্তা, সিপিআরডি), সাইদুর রহমান সিয়াম (ব্রাইটারস), ফারজানা উর্মি (সাধারণ সম্পাদক, গর্জন) প্রমুখ। শরীফ জামিল বলেন, “জাপানি প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত অর্থায়ন দেশের পরিবেশ ও স্থানীয় জনগণের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। স্বাধীনতার পর জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হলেও বর্তমান সময়ের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পগুলো প্রাণ-প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। আমরা আশা করি, জাপান এসব প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দেবে।” অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান বলেন, “জ্বালানি নিরাপত্তা দরকার, তবে তা যেন আমদানি-নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানির উপর না হয়। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কতটা বিপজ্জনক। পরিবেশদূষণ, উচ্চ তাপমাত্রা, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং চিকিৎসা ব্যয়—সবই বেড়েছে।” বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এস এম বদরুল আলম বলেন, “জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো এই মাসেই ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা পর্যালোচনা করবে। অতীতে অনেক ভালো প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করলেও, বর্তমান জীবাশ্ম-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো ঝুঁকিপূর্ণ—এগুলো এখনই বন্ধ করা দরকার।” শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা বিদেশি প্রকল্পনির্ভর। এসব প্রকল্প বন্ধ হলে আমরা বিপদে পড়ি। তাই আমাদের নিজস্ব বাস্তবতা ও পরিবেশ বিবেচনায় স্থানীয়ভাবে টেকসই প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে ও লবণচাষীদের পুনর্বাসনেও উদ্যোগ নিতে হবে।” নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল এবং সুন্দরবন ভয়াবহ হুমকিতে পড়েছে। বহু মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দ্রুত রূপান্তরের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমাদের আশা।” সমাবেশে মিশন গ্রিন ভলান্টিয়ার্স পরিবেশন করে একটি ফ্ল্যাশ মব, যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সৌরশক্তির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ পরিবেশন করে একটি পাপেট শো, যা পরিবেশবান্ধব জ্বালানির পক্ষে জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডেল্টা টাইমস/সিআর |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |