শাপলা প্রতীকের ভাগ্য এখনও অনির্ধারিত
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() শাপলা প্রতীকের ভাগ্য এখনও অনির্ধারিত রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে জটিলতার বিষয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, শাপলা প্রতীক কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শাপলা প্রতীক নির্বাচন কমিশনের প্রতীক তালিকায় নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও নতুন করে কিছু ভাবছে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির বর্তমান নেতারা গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনে অবাধ তথ্য প্রবাহের কথা জানান সিইসি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, কোনো দল নিবন্ধন যখন পায়, আমাদের যে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা- সেখান থেকে প্রতীক নিতে হয়। যেহেতু শাপলা আমাদের তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা এনসিপিতে নেতৃত্বে আছেন তারা ২০২৪-এর আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে আন্দোলন করেছেন। তারা গণতন্ত্রায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না- সেটা আমি বিশ্বাস করি। আমি তাদের কোনো অংশে কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। তারাও দেশের ভালো চান, তারাও দেশের গণতন্ত্র চান, আমার বিশ্বাস গণতন্ত্রের উত্তরণটা যাতে সুন্দর হয় সে বিষয়ে তারা সম্মতি দেবেন। তারা আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই। আমি চাই, তথ্য প্রভাব বজায় থাকুক। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে। লুকানো কোনও নির্বাচন দিতে চাই না। রাতের অন্ধকারের ভোট চাই না। আমরা চাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন- সবার দৃষ্টিগোচর হয় এমন নির্বাচন। এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হয়ে চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এ সময় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে কমিশন নিরাপত্তা, অপতথ্য, এআইয়ের ব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমদ প্রমুখ। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |