কূটনৈতিক ও নিরাপত্তার হুমকিতে আরব বিশ্ব
রায়হান আহমেদ তপাদার:
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০০ এএম

কূটনৈতিক ও নিরাপত্তার হুমকিতে আরব বিশ্ব

কূটনৈতিক ও নিরাপত্তার হুমকিতে আরব বিশ্ব

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মাঝখানে ছোট্ট একটি দেশ ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে ফিলিস্তিন ছেড়ে যায় ব্রিটেন, আর ইহুদিরা ঘোষণা করে নিজস্ব রাষ্ট্র ইসরায়েলের। তখন থেকেই ইসরায়েল রাষ্ট্র শুধু টিকেই থাকেনি, বরং তাদের পরিধি আরো বাড়িয়েছে। গত ৭৫ বছরে ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে একদিকে যেমন শক্তিশালী হয়েছে, অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ ইসরায়েল। তারাই একমাত্র দেশ যারা শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সরাসরি নাগরিকত্ব দেয়, সেটা পৃথিবীর যে প্রান্তেরই ইহুদি হোক না কেন।৭৫ বছরে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি বা সামরিক দিক দিয়ে বিশ্বে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে ইসরায়েল। এটা সম্ভব হওয়ার পেছনে কাজ করেছে বেশ কয়েকটি বিষয়। যেমন: পশ্চিমা সাহায্য, সামরিক ও প্রযুক্তির বিকাশ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ এবং নেতৃত্ব।ইসরায়েলের এতটা শক্তির পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষত আমেরিকার একটা বড় অবদান আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার বৈদেশিক সহায়তার সবচেয়ে বড় অংশ পেয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েল জন্মলগ্ন থেকেই ব্রিটেন, ফ্রান্স ও আমেরিকার সমর্থন পেয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ফিলিস্তিন অঞ্চলটিতে ৪০০ বছরের অটোমান শাসনের অবসান ঘটিয়ে উপনিবেশ গড়েছিল ব্রিটিশরা। ফ্রান্সও এর মাঝে ছিল। যদিও এই অঞ্চলটি সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রিটেন শাসন করে। ইহুদিদের নিজস্ব একটি ভূখণ্ড থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে এসেছিলো ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকেই।তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আসতে থাকে। এনিয়ে আরব ও ইহুদিদের দ্বন্দ্বও বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তখন মুসলিমরা ছাড়াও খ্রিস্টানদেরও বসবাস ছিল।

ইহুদিদের বসতি গড়ে তোলার প্রেক্ষাপটে আরবরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এই বিক্ষোভ দমনে ব্রিটেন নির্যাতনও চালায় আরবদের উপর। পরবর্তীতে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানাভাবে তাদের সাথে ছিল ফ্রান্স ও ব্রিটেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ইসরায়েল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় এবং সে গনতন্ত্রকে সমর্থন দেয় ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই দেশ যারা ইসরায়েলকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। ইসরায়েল রাষ্ট্র যেদিন প্রতিষ্ঠা হয়, ঠিক সেদিনই স্বীকৃতি দিয়েছিল আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অফিস অফ দা হিসটোরিয়ানসে উল্লেখ রয়েছে,হ্যারি এস ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ইহুদি রাষ্ট্রের ব্যাপারে তার সমর্থন ঘোষণা করেন। সম্প্রতি কাতারের দোহায় হামাস কর্মকর্তা ও আলোচকদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এটা উপেক্ষা করা আরব রাষ্ট্রগুলোর পক্ষেও সম্ভব নয়। ইসরায়েল বরাবরই তার নিরাপত্তার স্বার্থে আগাম ও সীমান্তের বাইরে হামলার যৌক্তিকতা দেখিয়ে এসেছে। গত দুই বছরে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত ছয়টি দেশে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের এসব হামলার লক্ষ্য ছিল দেশটির নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের হুমকি দূর করা।কিন্তু কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কাতার শুধু সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাজতন্ত্রই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগী ও ন্যাটো বহির্ভূত একটি মিত্র। একই সঙ্গে এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস আলোচনার একটি কেন্দ্র। ফলে এই হামলা আরেকটি ‘টার্গেট কিলিং’ নয়, বরং এক মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা। এখন থেকে আরব রাষ্ট্রগুলো শুধু ইরানকেই নয়, ইসরায়েলকেও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।এটাই প্রথম নয় যে ইসরায়েল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলাকালীন হামলা চালাল। 

গত দুই বছরে লেবাননে হিজবুল্লাহ, সিরিয়ায় নতুন সরকার আল-শারা, ইয়েমেনে হুতি, এমনকি ইরানের বিরুদ্ধেও, যখন তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করছিল, উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলা সাধারণত আলোচনার অগ্রগতি ভন্ডুল করার সময়ই হয়েছে, যেন ইসরায়েল দেখাতে পারে যে তাদের কাছে কূটনীতি ও সামরিক চাপ আলাদা নয়। দোহার হামলা এই ধারা অনুসরণ করেছে। তবে এর প্রতীকী গুরুত্ব দীর্ঘ মেয়াদে সুদূরপ্রসারী হবে। ইসরায়েলের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দোহার এক শান্তিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে, যেখানে সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সফর করেছিলেন এবং কাছেই ছিল একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। উপসাগরীয় শাসকদের কাছে বার্তাটি পরিষ্কার, মার্কিন মিত্রতা ও সামরিক ঘাঁটি তাদের রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ইসরায়েল বহুদিন ধরেই কাতারের প্রতি ক্ষোভ পুষে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অনুমোদনে দোহা গাজায় বহু বছর ধরে অর্থ পাঠিয়েছে, অঞ্চলটিকে স্থিতিশীল রাখার প্রচেষ্টায়। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর সেই ব্যবস্থাকে হামাসকে শক্তিশালী করার অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে ইসরায়েল। পরবর্তীকালে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা কাতারের অর্থ নিয়ে লবিং করেছেন বলে কেলেঙ্কারি ফাঁস হলে এই ক্ষোভ আরও স্পষ্ট হয়। তবে ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ ঘাঁটি মার্কিন সামরিক শক্তির প্রধান ভরকেন্দ্র। এখান থেকেই আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ২০২২ সালে জো বাইডেন কাতারকে ন্যাটো বহির্ভূত প্রধান মিত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। এমনকি গত জুনে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের সময় ইরান মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কাতারে হামলা হওয়া, সেটাও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের দ্বারা যা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

কয়েক দশকে ধরে উপসাগরীয় দেশগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে ইরানের কেন্দ্রে রেখে সংজ্ঞায়িত করেছিল। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি,'অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বাহিনীগুলোকে সহায়তা এবং সীমান্তের বাইরে আঘাত করার সক্ষমতা নিয়ে তারা আশঙ্কায় থাকত। কিন্তু ইসরায়েলের গাজায় নির্বিচার অভিযান,পশ্চিম তীরে তৎপরতা এবং লেবানন-সিরিয়া-কাতারে ক্রমবর্ধমান হামলা এই ধারণা বদলে দিয়েছে।আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছে এখন ইসরায়েলই সবচেয়ে বড় হুমকি। অবশ্যই ইরানের ভূমিকাও মারাত্মক, তবে তার আগ্রাসন পরিচিত ও পূর্বানুমানযোগ্য। বিপরীতে ইসরায়েলের পদক্ষেপ দিন দিন আরও বেপরোয়া হচ্ছে, যা আরব বিশ্বের প্রচলিত কূটনৈতিক ও নিরাপত্তার নিয়ম-নীতি ভেঙে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা এ ধারণাকে আরও শক্ত করেছে। ট্রাম্প ও বাইডেন কেউই ইসরায়েলের হামলা নিয়ন্ত্রণ করেননি। কাতারে হামলার পর উপসাগরীয় শাসকদের বুঝতে হবে যে ওয়াশিংটন হয় অক্ষম, নয় অনিচ্ছুক, তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এখন উপসাগরীয় দেশগুলো সম্ভবত নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে। একই সঙ্গে চীন ও তুরস্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব সম্প্রসারণ করবে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়াকে পুনর্বিবেচনা করবে। গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকায় আব্রাহাম চুক্তি ও সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের স্বপ্ন কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে। আরব অঞ্চলের জন্য এর তাৎপর্য স্পষ্ট; যে নিরাপত্তা কাঠামো এত দিন ইরানকেন্দ্রিক ছিল, সেটি এখন নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে, যেখানে ইসরায়েলকেই অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে। একই সময়ে উপসাগরীয় শাসকেরা বৃহত্তর কৌশলগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার অনুসরণে এগিয়ে চলেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতার ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করার ব্যাপারে ক্রমেই আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হচ্ছেন। 

দোহায় হামলাটি শেষ পর্যন্ত একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে; যা এই বোধকে সুস্পষ্ট করে যে ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং নিরাপত্তার নামে অংশীদারদের সার্বভৌমত্ব বহুবার ত্যাগ করা হয়েছে। ফলে এখন প্রশ্নটা কেবল এটা নয় যে আরব রাষ্ট্রগুলো প্রতিক্রিয়া দেখাবে কি না? বরং এখন এটাও প্রশ্ন যে তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? নেতৃত্বের দিক দিয়ে শুরু থেকেই বিচক্ষণতা দেখিয়েছে ইসরায়েল, যেটা তাদের এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশটির নেতৃত্ব সামরিক, কৃষি, শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করেছে। মিস্ আকতেলের মতে তাদের নেতৃত্বের স্টাইল এবং নীতি নির্ধারণ একটু ভিন্ন ধরণের। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়। ইসরায়েলের ইহুদিরা মূলত এ অঞ্চলে এসেছিল বাইরের ভূখণ্ড, বিশেষত ইউরোপ থেকে। অষ্টাদশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে জ্ঞানের যে ব্যাপক বিকাশ ঘটে সেটার অংশ ছিল ইহুদি জ্ঞানী বা পান্ডিত্য সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ যারা অতি জ্ঞানী, আধুনিক, শিক্ষিত একটি জাতিগোষ্ঠী হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করেন। তারা ৩০ ও ৪০ এর দশকে ইসরায়েল অঞ্চলে এসেছিলেন এবং তাদের সহযোগিতায় ইসরায়েল উচ্চ শিক্ষিত একটি বৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও শিক্ষার অভাব ছিল সেখানে ইসরায়েল একটি ভিন্ন সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় উপনীত হয়। তবে যতই আধুনিক বা শক্তিধর হোক না কেন, মিজ আকতেলের মতে এর পেছনে তাদের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখল এবং মানুষের উপর সহিংসতার বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com