তদন্ত না করে অভিযুক্ত শিক্ষককে সহযোগিতা করছেন রাবি উপাচার্য
রাবি প্রতিনিধি :
|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড.সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের (এমএসএস) পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন একই বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে উপাচার্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা থাকলেও সেটা না করে কালক্ষেপণ করছেন। এমনকি সভাপতিকেই সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পেছনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন তারা। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হবার পর সকল বর্ষে সবাই ভালো ফলাফল অর্জন করেছিলাম। এরমধ্যে ১জন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। আরেকজন ইউজিসির বৃত্তি লাভ করেন। আমাদের এই অর্জনে পূর্ববতী সভাপতি ও শিক্ষকরা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর জীবনে দুঃসময় নেমে আসে। তার স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন, পক্ষপাতিত্ব, ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণে দায়িত্বে অবহেলা, অনৈতিক কার্যকলাপে ফলে ফলাফল খারাপ হয়ে বলে দাবি করেন তারা। ![]() তদন্ত না করে অভিযুক্ত শিক্ষককে সহযোগিতা করছেন রাবি উপাচার্য যার প্রেক্ষিতে তদন্ত মূলক ফলাফল পরিবর্তন দাবি জানিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম। পাশাপাশি উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহানের সাথে সাক্ষাত করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। কিন্তু এতোদিনেও তদন্ত কমিটি গঠন না করে কালক্ষেপণের মাধ্যমে বিভাগের সভাপতিকে সহযোগিতা করছেন উপাচার্য। আমাদের ক্ষেত্রে তিনি নিরব দর্শক হিসেবে সভাপতিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। উপাচার্যের আবদুস সোবহানের "খাস অনুচর" হিসেবে বেশ পরিচিতি আছে সভাপতির। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন জমা দেয়ার পরেই তাদের নানা ভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। অতিসত্বর যাতে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র ও থিসিসের পূর্ণমূল্যায়ন সহ ইনকোর্সের যথাযথ নাম্বার দিয়ে ফল প্রকাশ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি জানিয়ে সভাপতি সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেছিলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম অনুসরণ করেই পরীক্ষা নেয়া ও ফল প্রকাশ করা হয়। এর বাহিরে কিছু হয়না। এখানে পক্ষপাতিত্বের কিছু নেই। শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভালো কিছুর জন্যই আমাদের কঠোর হতে হয় এটাকে ভয়ভীতি হিসেবে নিলে আমাদের ত কিছু করার নেই। শিক্ষার্থীরা যেসকল অভিযোগ দিয়েছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিবে এতে আমার আপত্তি নেই। তদন্তে দেরী হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা(অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল প্রয়োজনে উপাচার্য সবসময় পাশে থাকেন। কয়েকদিন যাবত খুব ব্যস্ত আছেন সেজন্য এ বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। আশাকরি কয়েকদিন মধ্যে এ বিষয়ে সুরহা করবেন। উপাচার্য সভাপতিকে বাঁচানোই চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল চেয়ারম্যান সাথে উপাচার্যের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য এটা ভাবা যাবেনা যে তাকে সহযোগিতা করছে। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/জেডএইচ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |