নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
|
![]() নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। এরপরে একটি শোক পদযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’-এ গিয়ে শেষ হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সেখানে ভাস্কর্যের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নারকীয়ভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে দেশি বিদেশি চক্রান্তকারীরা ছিল তাদেরকে অতিসত্বর বিচারের মুখোমুখি করার জোরালো দাবি তুলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে সেই হত্যাকারীদের জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার ধীরে ধীরে বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছেন। তাদের অনেকের শাস্তি হয়েছে, অনেকে পলাতক অবস্থায় রয়েছে। আমরা আশা করি তারা ধরা পড়বে। বাংলাদেশে তাদের ফেরত আনা হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন শুধু তাদের বিচারের আওতায় আনলে হবে না; যারা চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই চক্রান্তকারীদের আজকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজন হলে মরণোত্তর বিচার করতে হবে।’ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, যদি সেটি না করা হয় তাহলে চক্রান্তের রাজনীতি থামানো যাবে না। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র সে ষড়যন্ত্র থামানো যাবে না। এ কারণে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে যে চক্রান্ত হয়েছিল সেই চক্রান্তকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি মাত্র নন। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে আদর্শ, বঙ্গবন্ধু মানে ধ্রুব তারকা, বঙ্গবন্ধু মানে এমন এক বাংলাদেশ যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড়িয়ে। তিনি আজীবন বাঙালির জন্য সংগ্রাম করেছেন, বাঙালির আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন। এই মানুষটিকে হত্যার মধ্যদিয়ে একাত্তর সালের পরাজিত শক্তি ভেবেছিলো যে একাত্তর সনের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া বোধকরি সম্ভব। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। হত্যা করবার আগে তারা চক্রান্ত করেছিল। চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিল সামরিক বাহিনীর কিছু লোক, বেসামরিক বাহিনীর লোক, আধা সামরিক বাহিনীর কিছু লোক। সুদীর্ঘ চক্রান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুকে তারা হত্যা করেছিল। ডেল্টা টাইমস্/মোছা. জান্নাতী বেগম/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |