|
ঝিনাইদহে পেঁয়াজের দর পতন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
|
![]() ঝিনাইদহে পেঁয়াজের দর পতন ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা প্রতিমন পেঁয়াজ ৮ থেকে ৯' শ টাকা দরে বিক্রি করে। এরপর চলতি বছর মে- জুন মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১২শ থেকে দেড় হাজার টাকা মন হয়। জুন মাসের শেষ দিকে আরেক দফা বেড়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা দামে বিক্রি হয়। আগস্টে মনপ্রতি আবারও দাম বেড়ে আড়াই হাজার থেকে ৩হাজার, পরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪হাজার টাকা মন বিক্রি হচ্ছিল। সর্বশেষ গত শনিবার ভারতের পেঁয়াজ না আসার খবরে মনপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৭ হাজারে দাঁড়ায়, যা বছরের সবচেয়ে বেশি।যেখানে প্রতি কেজি এক’শ ৮৭ টাকা দরে বিক্রি করে। কিন্তু গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম কমে আবারও পূর্বের দামে বিক্রি হচ্ছে। বুধবার পাইকারি বাজারে প্রতিমন ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২শ টাকা পুরাতন পেঁয়াজ, আর সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৮শ টাকা দরে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা শহরের কাঁচা বাজারে বুধবার খুচরা প্রতি কেজি পুরাতন পেঁয়াজ ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, আর নতুন পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১শ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, গেল মৌসুমে ৯ হাজার ৭৫৪ হেক্টর আবাদ থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। সেখানে শুধুমাত্র শৈলকূপা উপজেলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। শৈলকূপা উপজেলায় বেশি, আর কোটচাঁদপুর উপজেলার সবচেয়ে কম পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাঈদ সিদ্দিকী বলেন, জেলায় পেঁয়াজ আবাদ হয় শীতকালীন এবং গ্রীষ্মকালীন। শীতকালীন পেঁয়াজ আবাদ আবার দুই প্রকার। চারা পেঁয়াজ, অপরটি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ । মুড়ি কাটা পেঁয়াজ অক্টোবর- নভেম্বর মাসে লাগলো হয় এবং ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে তোলা যায়। চারা পেঁয়াজ ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে লাগানো হয় এবং এপ্রিল মাসে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। ডেল্টা টাইমস/মনজুর আলম/সিআর
|
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |