|
দেশে ভোটাভুটির একটা খেলা হচ্ছে: সুজন সম্পাদক
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক :
|
![]() ছবি : সংগৃহীত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, এটা কোনও নির্বাচন। কারণ নির্বাচন হলো বিকল্প থেকে বেছে নেওয়া। যদি বিকল্প না থাকে, তাহলে তো নির্বাচন হয় না। নির্বাচন নির্বাচন খেলা হতে পারে। নির্বাচন হতে হলে যথার্থ বিকল্প থাকতে হবে এবং অনিশ্চিয়তা থাকতে হবে। এখনকার নির্বাচনে কি অনিশ্চিয়তা আছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন, যেখানে আমরা বলি— আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হচ্ছে দুটো ব্র্যান্ড। বিএনপি যদি না থাকে, এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ চাইলে সব আসনে জিততে পারে। এখন তারা অন্যদের কিছু সিট দেওয়ার জন্য আসন ভাগাভাগি করছে এবং প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। নিজেদের অনুগত, নিজেদের সৃষ্ট নামসর্বস্ব দলগুলোর সঙ্গে।’ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিরোধীদল থাকতে হবে, গণতন্ত্র মানেই বহুদলীয় গণতন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি। জাতীয় পার্টির মহাসচিবও বলেছেন যে, জাতীয় পার্টি দ্বারা মনোনীত, আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তাহলে তো প্রতিযোগিতা যেটা হচ্ছে আমরা আর মামুদের মধ্যে। এটাকে আমি নির্বাচন বলি না, আমি বলি ভোটাভুটির একটা খেলা হচ্ছে আমাদের এখানে। এটা নির্বাচনই না, নির্বাচনের সংজ্ঞায় পড়ে না। ব্যাকরণেই এটাকে নির্বাচন বলা চলে না।’ ‘আমরা এখন ভয়াবহ একটা সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে আছি’, মন্তব্য করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার যেটা বিশ্নেষণ— এটা ভোটের একটা খেলা। ভোটের খেলা হচ্ছে। গত দুটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। যার ফলে সরকারের যে লেজিস্টেমেসি সমস্যা, তা কিন্তু দূরিভূত হবে না। বরং আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারণ এখন কিন্তু আমাদের নির্বাচনের উপর অনেকের চোখ আছে। অতীতে কিন্তু সেই চোখ ছিল না। এই লেজিস্টেমেসির সমস্যায় বিদেশি বন্ধুদের উপর আমাদের আরও নির্ভরশীল হতে হবে। যেটায় আমাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হতে পারে।’ পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন; যা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে শেষ করছে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। সুতরাং বর্তমান সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’ বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়েও প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে যে আইন, তাতে বলা আছে রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন নাম প্রস্তাব করবে। কিন্তু যখন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তখন সেটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। সুতরাং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের আইনগত বৈধতা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে তো তার সব কার্যক্রম, তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য।’ ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |