বিটিআরসি চেয়ারম্যান
হজের রোমিং প্যাকেজ সৌদির তুলনায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() হজের রোমিং প্যাকেজ সৌদির তুলনায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশে সিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, তার মধ্যে আছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা। আমাদের দেশ থেকে যখন একটা সিম রোমিংয়ের জন্য বাইরে যায় তার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড। আরেকটা বাধা ছিল, ক্রেডিট কার্ড থাকার পরও ইন্টারন্যাশনাল রোমিং একটা প্রিমিয়াম সার্ভিস, এর রেট যথেষ্ট উচ্চমূল্য ছিল। এটার বিকল্প ছিল, সৌদি আরবে গিয়ে ওইখান থেকে একটা সিম নেওয়া। সৌদি আরবের সিমের রেটও অনেক উচ্চ। তার চেয়ে বড় কথা, তাদের যে প্যাকেজ আছে সেগুলো সপ্তাহ অনুযায়ী। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। যারা হজের জন্য যাবেন সিম রোমিংয়ের জন্য তাদের আর ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড দরকার হবে না। তিনি আরও বলেন, আগে গ্রামীণফোনের প্যাকেজ সাত দিনের নিচে ছিল না। তারা সর্বনিম্ন একদিনের একটি প্যাকেজ দিয়েছে, যেখানে ৫০০ এমবি ইন্টারনেট ১৫৪ টাকা। সৌদি আরবে এই একই পরিমাণ ইন্টারনেট নিতে খরচ ১৮৫টাকা। গ্রামীণফোনের প্যাকেজে ৪৫ দিন মেয়াদের প্যাকেজে ১৫০ মিনিট দিয়েছে কলের জন্য এবং আনলিমিটেড ইন্টারনেট আছে। এটা এক্সময় ছিল ৬ হাজার ৯৯৯ টাকা, এটা ১ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। সৌদি আরবে একই মেয়াদের ১০০ জিবির প্যাকেজ আছে সেটা ১৩ হাজার টাকার মতো পড়ে। একইভাবে রবি ও বাংলালিংকের বিভিন্ন দামের প্যাকেজ আছে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে প্যাকেজ দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, হজ যাত্রীদের জন্য প্রিপেইড কার্ডের ব্যবস্থা করেছে ইসলামি ব্যাংক। এই কার্ডের মাধ্যমে পস মেশিন ব্যবহার করে কোরবানির অর্থ পরিশোধ করা যাবে। এই কার্ডের লিমিট ১২০০ ডলার। অল্প কিছু কাগজ যেমন-পাসপোর্ট, এনআইডি এবং ছবি জমা দিয়ে ব্যাংকের যেকোনও শাখা থেকে এই কার্ড পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে আমরা ১ হাজার কার্ড সরবরাহ করেছি। আমরা চাচ্ছি, আমাদের হাজিরা যাতে ঝামেলাহীনভাবে হজ সম্পন্ন করে আসেন। এই কার্ডে প্রয়োজন হলে এখান থেকেও টাকা জমা দেওয়া যাবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপ-সচিব মামুন আল ফারুক বলেন, সৌদি সরকার এবার নতুন একটি সিস্টেম চালু করায় তাদের সিস্টেমে একটা দীর্ঘসূত্রিতা ছিল। তাদের কারণেই দেরি হচ্ছিল। এই কার্যক্রম ১৮ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা সেটি চালু রেখেছে এবং আমাদের কার্যক্রম চলছে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সরকারিতে ৪ হাজার ৯৯৫ জন ভিসা পেয়েছেন ৫ হাজার ২০০ জনের মধ্যে এবং বেসরকারিতে ৫৮ হাজার ৭৭৭ জন ভিসা পেয়েছে ৮১ হাজার ৯০০ জনের মধ্যে। ভিসা কার্যক্রম চলমান আছে এবং সব হজ যাত্রী হজ করতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |