অভ্যুত্থানের ক্ষত সারাতে ‘ওয়েলবিইং’: মানসিক পুনর্বাসনের যাত্রা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালে আয়োজিত কর্মশালা। বুধবার রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইএমএইচ) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন সংশ্লিষ্টরা। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করছে হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (এইচআরডিসি), সহযোগিতায় রয়েছে ডিগনিটি, এবং অর্থায়নে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ড্যানিডা)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব পড়েছে। আহতদের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা তাদের উন্নত মানসিক চিকিৎসা নিশ্চিতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।” তিনি আরও জানান, টেকসই পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারি সংস্থা, কর্মসংস্থান ব্যাংক, এনজিও ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর বলেন, “জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও নিটোরের সহায়তায় ৪০ জন ভুক্তভোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হয়েছে।” তিনি এইচআরডিসির উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর বলেন, “১২ হাজার ৪৫৪ জন ভুক্তভোগী বিষণ্নতা ও মানসিক আঘাত থেকে ভুগছেন। তাদের পুনর্বাসনে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর কর্মসূচি ও গবেষণা প্রয়োজন।” কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এনআইএমএইচ-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। এ সময় বক্তব্য দেন শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের পিতা মাহবুবুর রহমান বশির, এইচআরডিসির প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুল হক, পরিচালক মো. জিয়ানুর কবির, এবং বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের উপপ্রধান অ্যান্ডার্স কার্লসেন। এছাড়া সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামানও বক্তব্য রাখেন। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |