বিড়াল প্রসঙ্গে যা বলেছেন মহানবী (সা.)
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক;
|
![]() বিড়াল প্রসঙ্গে যা বলেছেন মহানবী (সা.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পোষা ও বিড়ালকে বেঁধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খাবার-পানি দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি) তবে বিড়াল পোষা সুন্নত নয়। অনেকে বিড়াল পোষাকে সুন্নত মনে করেন—এটা ঠিক নয়। মহানবী (সা.) বিড়াল পুষেছেন এ রকম গ্রহণযোগ্য কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। যদিও মহানবীর (সা.) ঘরে মাঝে মাঝে বিড়াল আসতো এবং তিনি বিড়াল কাছে এলে তাড়িয়ে দিতেন না তা বোঝা যায় বিভিন্ন বর্ণনা থেকে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন, একবার মহানবী (সা.) মদিনার বাতহান নামক স্থানে গেলেন, তখন তিনি আমাকে অজুর পানি এনে দিতে বললেন। আমি অজুর পানি এনে দিলাম। মহানবী (সা.) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে এসে যখন অজু করার জন্য পানির পাত্রটি নিতে যাচ্ছিলেন, তখন একটি বিড়াল এসে পানির পাত্রে মুখ দিয়ে পানি খেতে লাগলো। মহানবী (সা.) বিড়ালটির পানি খাওয়া শেষ হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। আমি প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, বিড়াল ঘরের প্রাণী। বিড়াল মুখ দেওয়ার কারণে পানি নোংরা বা নাপাক হয় না। (নাসবুর রায়াহ) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, বিড়াল অপবিত্র নয়। এরা তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। আয়েশা (রা.) আরও বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে অজু করতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ) এ দুটি বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, বিড়ালের মুখ দেওয়া পানি সাধারণ অবস্থায় নাপাক নয়। তবে বিড়ালের মুখে কোনো নাপাকি লেগে থাকলে বিড়ালের মুখ দেওয়া পানি নাপাক হবে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |