বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা: ইএবি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা: ইএবি সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এই দাবি করেন। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা এই ঘটনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানাচ্ছি। যেসব পণ্য বিমার বাইরে রয়েছে, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগুনে ৩২টি ওষুধ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আশঙ্কা করছি সামনের দিনগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করে ইএবি’র সঙ্গে শেয়ার করতে, যাতে ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, দেশের রফতানি খাতের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগুনে বিপুল পরিমাণ আমদানি-রফতানি পণ্য ধ্বংস হয়েছে এবং এতে দেশের রফতানি খাতের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের দ্রুত বিমা দাবি নিষ্পত্তি ও সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং বিজিবি যৌথভাবে সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে শতাধিক আমদানি-রফতানি পণ্য, গার্মেন্টসের কাঁচামাল ও বিভিন্ন কনসাইনমেন্ট সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা যায়, আগুন নেভাতে সময় নিলেও কার্যকরী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে ক্ষতি এত ব্যাপক হয়। বিমানবন্দরের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, আগুনের পর থেকে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |