'মাঘের শীতে বাঘ কান্দে বাহে'
আব্দুল্লাহ আল মামুন, নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৪১ পিএম আপডেট: ২৩.০১.২০২০ ৫:৩৬ পিএম

'মাঘের শীতে বাঘ কান্দে বাহে'

'মাঘের শীতে বাঘ কান্দে বাহে'

পৌষের শুরু থেকেই ঘনকুয়াশা আর প্রচন্ড শীতের রেশ কাটতে না কাটতেই মাঘের শুরু থেকেই শীতের দাপটে জেরবার হয়ে পরেছে জেলার নীলফামারীর মানুষ। প্রচন্ড শীতে নাকাল হয়ে হয়ে পরেছে উত্তরের সর্বশেষ জেলা নীলফামারী। গত প্রায় দশদিন থেকে শৈত্য প্রবাহে মানুষজন বির্পযস্ত হয়ে পরেছে। ঠান্ডার কারনে বেকায়দায় পরেছে ছিন্নমুল মানুষ। অসহায় হয়ে পরেছে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষের পাশাপাশি গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশুপাখি নিয়ে বেকায়দায় পরেছে মানুষ।
সন্ধার পর থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির মত টিপটিপ করে ভারী কুয়াশা পরছে। রাতের বেলা বৃষ্টির মত ঝড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে মানুষ আর চরম দূর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে যেতে না পেরে নিদারুন কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।  শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার কারনে সুর্যের দেখা মেলেনি এক সপ্তাহ থেকে।দিনের বেলাতেও কুয়াশার কারনে ভারী যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা-ঘাটে লোকজন চলাচল কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছে না। অনেকেই খড়-কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। 
শীত নিবারন করতে গরম কাপড় সংগ্রহে নিম্ন আয়ের মানুষরা পৌরসভা বাজার ও রেললাইনে পুরানো কাপড়ের বাজারে ভীড় করছেন। শীত বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে পুরাতন রেললাইনের ধারে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে প্রচন্ড শীত আর হিমেল বাতাসে স্থবির হয়ে পরেছে ঝুপরি ঘড়ে থাকা মানুষজন এই ঠান্ডায় তারা পড়েছে চরম বিপাকে। ঝুপরি ঘড়ে থাকা এক বৃদ্ধা জানান,প্রচন্ড শীত আর বাতাসে সারারাত বসে রাত কাটাতে হচ্ছে। মাঘের শীতে বাঘ কান্দার মত অবস্থা হইছে হামার। এই শীতে ঝুপড়ি ঘড়ে থাকা আর যাছে না বাহে। এবার শীতের শুরু থেকেই শীতের দাপট দেখা দিয়েছে সর্বত্র। পৌষ মাসে শীতের তীব্রতা এতটাই ছিলযে অনেক মানুষ বলছেন স্মরনকালের সবচেয়ে ঠান্ডা এবার হচ্ছে। আর মাঘের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা আরো বেরে গেছে। এই রকম ঠান্ডা অনেকদিন দেখেননি বলে জানিয়েছেন বড় রাউতা গ্রামের আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন ঠান্ডার কারনে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পরেছেন।
রকি নামে এক ব্যবসায়ী জানান, সন্ধার পর থেকেই ঘন কুয়াশার কারনে দোকান বন্ধ করে বাড়ী যেতে কষ্ট হচ্ছে। সামনে কে রয়েছে কুয়াশার কারনে লাইট জ্বালিয়েও তা দেখা যাচ্ছে না। ঘনকুয়াশার কারনে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা নানা রোগ দেখা দিয়েছে আলু ক্ষেতের। শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব বেড়েছে। আর এই রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com