|
সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠুন
আব্দুর রহিম
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১১:২৭ এএম
|
|
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ বাবা-মা সন্তানদের কে সময় দেয়না। অনেকে সন্তানের চাওয়া পাওয়া পূরনের মাধ্যমেই নিজের দায়িত্ব পালন সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করে থাকেন। আবার অনেকে কর্ম ব্যস্ততার জন্য সন্তানকে সময় দিতে পারেনা। ফলে সন্তানের সাথে বিরাট একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বর্তমানে সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের মানসিক দূরত্ব অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের দূরত্ব কেবল শহুরে জীবনে পরিলক্ষিত হতো। কিন্তু বর্তমানে গ্রামীণ জীবনেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। যেখানে সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো কিন্তু আজ আমরা তা দেখতে পাই না বললেই চলে। বাবা-মা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সন্তানদের সাথে সেভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনা। অনেক বাবা-মা সন্তানদের করা বিরক্ত থেকে দূরে থাকার জন্য সন্তানদের টিভি বা মোবাইল দিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে সন্তান অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক কর্মজীবী বাবা-মা সন্তানদের সময় দিতে না পেরে তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখার জন্য সন্তানের হাতে মোবাইল বা ল্যাপটপ তুলে দেন। একসময় সন্তান সেটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।  আব্দুর রহিম আজকাল বাবা-মায়েরা সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। যেটুকু দেন সন্তানকে নানা ধরনের হুকুম প্রদান করেন এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করেন। কখনও মন খুলে সন্তানের সাথে গল্প করেন না। সন্তানেরা সবসময় একজন ভালো বন্ধু চায় যে তাকে সবসময় সঙ্গ দিবে, তার সাথে খেলবে, গল্প করবে, আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবে। সন্তানেরা যখন বাবা-মাকে পাশে পায়না তখন অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এতে করে অনেকে অসৎ সঙ্গে যুক্ত হয় আবার অনেকে মোবাইল বা কম্পিউটারে আসক্ত হয়ে পড়ে। অনেকে আসক্ত হয়ে পড়ে টিভিতে কার্টুন দেখতে। সন্তানের হাতে মোবাইল আর টিভির রিমোট তুলে দেওয়ার কাজটা কিন্তু বাবা-মা করে থাকে। আর যখন বুঝতে পারে সেটি সন্তানের জন্য ক্ষতিকর তখন আর কিছু করার থাকে না সন্তান সেটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করানোর জন্য বাবা-মা সন্তানের উপর চাপ প্রয়োগ করে। বাবা-মা সন্তানের উপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়। তাকে মানুষের মতো মানুষ করার লক্ষ্যে কিন্তু কখনও তাকে একজন স্বনির্ভর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় না। শিশুকে বইয়ের বাইরের জগৎ সম্পর্কে কিছু জানাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না। ফলে সন্তানের কাছে বাইরের জগৎটাকে ভয়ংকর মনে হয়। সে মানসিক ব্যাধিতে ভুগতে থাকে। তাই সে সন্তানের কাছে ভার্চুয়াল জগৎটাকেই অনেক বেশি আপন বলে মনে হয়। মনোবিদদের পরামর্শ হলো, সন্তানের অভিভাবক হওয়ার চেয়ে তাদের বন্ধু হওয়াটা বেশি জরুরী। শত ব্যস্ততার মাঝেও যতটুকু সময় পাওয়া যায় সন্তানের সাথে বন্ধুর মতো কাটানো উচিৎ। তাই সন্তানের সাথে বন্ধুর মতো মেলামেশা করা জরুরী, প্রতিদিন সন্তানকে কিছুটা হলেও সময় দেওয়া দরকার, নিজের অভিজ্ঞতা গুলো সন্তানের সাথে ভাগ করে নেওয়া। যতটুকু সম্ভব সন্তানের সাথে খোলামেলা কথা বলুন। সন্তান সারাদিন কোথায় কোথায় যায়, কাদের সাথে মেলামেশা করে, কি করে এগুলো তার থেকে জানুন। তবে কখনো জোর করে কিছু জানার চেষ্টা করবেন না। তাকে সবকিছু বলতে উদ্বুদ্ধ করুন যাতে করে আপনি না চাইলেও সে সবকিছুই বলে। সে নিজেই যেন মনে করে আপনাকে জানানো জরুরী। সন্তান কি পছন্দ করে, কি করতে ভালোবাসে, তার স্বপ্ন কি এগুলো জানুন এবং তা পূর্ণ করার লক্ষ্যে বন্ধুর মতো তার পাশে থাকুন। সন্তানের সাথে খেলাধুলা করুন, একসাথে ঘুরতে যান,যতটুকু পারেন সন্তানকে সময় দেন। যাতে সে আপনাকে সত্যিকারের একজন বন্ধু মনে করে।। আব্দুর রহিম শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ। E-mail : a.rahimsalafi181@gmai.com  ডেল্টা টাইমস্/আব্দুর রহিম/সিআ/জেডএইচ
|
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |
কালীগঞ্জে ৮৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা পেলেন মুজিব কোট 
টানা তৃতীয়বারের মতো ‘এক নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড’ স্যামসাং
মাগুরায় বেগম রোকেয়া স্মরণে আলোচনা সভা
বনপাড়া পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের উদ্বোধন
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান চিরস্মরণীয়
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি এবং কেন?
নারায়ণগঞ্জে পৌঁছে গেলো চালডাল ডটকম
বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগে ১২৫ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, বাস হেলপার গ্রেপ্তার
