|
রোহিঙ্গা সহায়তায় বিদেশি নয়, নেতৃত্বে থাকুক স্থানীয় এনজিও
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() রোহিঙ্গা সহায়তায় বিদেশি নয়, নেতৃত্বে থাকুক স্থানীয় এনজিও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্থানীয় এনজিওদের মাধ্যমে তহবিল ব্যবস্থাপনা হলে পরিচালন ব্যয় কমানো সম্ভব। কোস্ট ফাউন্ডেশন ও কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। ইক্যুইটিবিডির পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরামের মো. ইকবাল উদ্দিন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সংসাদ সম্মেলনে কোস্ট ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তার স্থানীয়করণ’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন মো. শাহিনুর ইসলাম। সংগঠনের গবেষণা তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে স্থানীয় এনজিওরা মোট প্রকল্পের মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পরিচালনা করে, আর তহবিলের মাত্র ২ দশমিক ৫ শতমাংশ ব্যবহার করে। সরকারের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। এককভাবে ব্র্যাক পুরো তহবিলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিচালনা করে। আন্তর্জাতিক এনজিওরা (আইএনজিও) ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জাতীয় এনজিওরা ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাকশনএইড ও টিডিএইচ-এর মতো আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোও জাতিসংঘের সংস্থা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে তহবিল সংগ্রহ করে। অথচ বিশ্বব্যাংক জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অনুদান দিলেও সরকারকে সহায়তা দেয় ঋণ আকারে। রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ অর্থের হিসাব তুলে ধরে বলা হয়, গড়ে একজন শরণার্থীর জন্য বছরে প্রায় ৩০৭ মার্কিন ডলার বরাদ্দ থাকে। এর মধ্যে সরাসরি সেবার আকারে পরিবারগুলো পায় প্রায় ৯১ ডলার। পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতি পরিবার মাসে ১২ ডলার পেয়ে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে সিএসও কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে: জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর সরাসরি কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কক্সবাজারে তহবিল সংগ্রহের বদলে তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। বরাদ্দ তহবিলের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ স্থানীয় এনজিওদের হাতে দিতে হবে। পুলড ফান্ড স্থানীয় এনজিওগুলোর কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। আন্তর্জাতিক এনজিও ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে ধাপে ধাপে কক্সবাজার থেকে গুটিয়ে নিতে হবে; স্থানীয় জনবল দিয়ে সেসব কার্যক্রম চালাতে হবে। রোহিঙ্গাদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টির জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও বাজারসংযোগ কর্মসূচি চালু করতে হবে। সব কার্যক্রম জনগণের কাছে স্বচ্ছ করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ফান্ডিং ড্যাশবোর্ড’ তৈরি করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আধিপত্য কমিয়ে স্থানীয় সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ানো গেলে ব্যয় কমবে, স্বচ্ছতা বাড়বে এবং সহায়তা কার্যক্রম হবে অধিক কার্যকর। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/আইইউ |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |