সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব এতে অংশীজনেরা বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের কথা বলে ২০২২ সালে শিল্পে ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। যদিও বাড়তি দাম দিয়ে গ্যাস পায়নি শিল্প। সার কারখানায় প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করার পরও কারখানা বন্ধ ছিল। এখন আরও বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার চেষ্টা চলছে। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গণশুনানি চলে। এতে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ও ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে। তারা সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিইআরসি গঠিত কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। ইউরিয়া সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে মূল কাঁচামাল হিসেবে কাজ করে প্রাকৃতিক গ্যাস। কিন্তু গ্যাস–সংকটে বছরের বেশির ভাগ সময় সরকারি সার কারখানা বন্ধ রাখতে হয়। প্রতিবছর সার উৎপাদন কমছে। চাহিদা মেটাতে বাড়তি দামে সার আমদানি করতে হচ্ছে। এখন আমদানি কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার। তাই গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে সার কারখানা চালু রাখার নামে বাড়ছে গ্যাসের দাম। এর আগে গত ১০ আগস্ট সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। এরপর একই প্রস্তাব আলাদা করে জমা দেয় ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। এতে বলা হয়, প্রতি ঘনমিটার গ্যাসে গড়ে খরচ হয় ২৮ টাকা ৭৮ পয়সা। বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সা। প্রতি ঘনমিটারে লোকসান হচ্ছে ৫ টাকা ৮৫ পয়সা। এতে চলতি অর্থবছরে ১২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে। সরকার ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে ৬ হাজার কোটি টাকা। সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে। শুনানিতে অংশ নিয়ে নাগরিকদের কেউ কেউ গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সারের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এরপর সেই অজুহাতে সারের দাম বাড়ানো হবে। এতে কৃষিপণ্যের খরচ বাড়বে, যা ভোক্তার ওপর প্রভাব পড়বে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতি টন সারে ভর্তুকি এখন ১৩ হাজার টাকা। কৃষক পর্যায়ে সারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। বাড়তি উৎপাদন খরচের দায় যদি সরকার ভর্তুকি দিয়ে মেটায়, তাহলে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। তবে বিসিআইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০২২ সালে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাম বাড়িয়েছিল, সেটা রক্ষা করা হয়নি। এতে আগের চেয়ে বছরে উৎপাদন কমেছে ৩ লাখ টন। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর দাম যদি বাড়াতেই হয়, তাহলে ১৬ টাকা থেকে ৪ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা যেতে পারে। এতে কৃষক বাঁচবে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |