হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি, গাজাবাসীর আনন্দ-উৎসব উদযাপন
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() শান্তিচুক্তির খবরে গাজায় আনন্দমিছিল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে "ইসরায়েলের জন্য একটি মহান দিন" বলে অভিহিত করেছেন। এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার তার সরকারের একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছে হামাস। শান্তি চুক্তি সই হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে গাজাবাসীকে, ইসরায়েলেও অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বেশ কিছু ভিডিওতে গাজাবাসীকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি খবরে উদযাপন করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তির সংবাদ উদযাপনের বিভিন্ন ভিডিও প্রচারিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সাঈদ মোহাম্মদ ইনস্টাগ্রামে রাতের একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন। এতে দেখা গেছে, প্রধান শহর দেইর আল বালাহতে আল-আকসা হাসপাতালের বাইরে পুরুষ ও মহিলাদের ব্যাপক সমাগম দেখা গেছে। সঙ্গীতের তালে তালে নেচে নেচে শিস এবং হাততালি দিতে দেখা যাচ্ছে তাদের। একইসাথে 'আল্লাহু আকবর' রব তুলতেও দেখা গেছে। আরেকজন সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদ-এর আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গাজার অন্য আরেকটি স্থানের রাস্তায় তরুণদের একটি ছোট দলকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। এই শান্তি চুক্তির জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তেনিও গুতেরেস সব পক্ষকে এই চুক্তির সব শর্ত মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন। গুতেরেস বলেন, এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া উচিত। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এই শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে দুই পক্ষের একমত হওয়ার খবরে এক বিবৃতিতে, "এটি একটি গভীর স্বস্তিকর মুহূর্ত" বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, গাজার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সংবাদকে আমি স্বাগত জানাই। অস্ট্রেলিয়া প্রথম পর্যায়ের এই গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে, সকল পক্ষকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত, জিম্মি এবং বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির পর, চুক্তিটি শান্তির দিকে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমরা সকল পক্ষকে পরিকল্পনার শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সমঝোতা আলোচনায় মিশর, কাতার এবং তুরস্কের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |