আফগানিস্তান-পাকিস্তান সংঘর্ষ, কোন দিকে যাবে পরিস্থিতি
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() আফগানিস্তান-পাকিস্তান সংঘর্ষ, কোন দিকে যাবে পরিস্থিতি রোববার (১২ অক্টোবর) তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, সংঘর্ষে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহতের পাশাপাশি ৩০ জন আহত হয়েছেন। আর আফগানিস্তানের ৯ সেনা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৬ জন। খবর আল জাজিরার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখার (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, সীমান্তজুড়ে সংঘটিত সংঘর্ষে দশ জনেরও বেশি তালেবান এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ২৩ জন সেনাসদস্য নিহত এবং আরও ২৯ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসলামাবাদ। সংঘর্ষের জেরে পাকিস্তান সীমান্ত পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দেশটির নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিভি নিউজ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের অন্তত ১৯টি সীমান্ত চৌকি দখলে নিয়েছে। আর তালেবানের বরাত দিয়ে আফগান গণমাধ্যম আমু নিউজ জানিয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের ১১টি সীমান্ত চৌকি। সংঘর্ঘ শুরু যেভাবে সংঘাতের শুরু গত বৃহস্পতিবার। এদিন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এই হামলা পাকিস্তান করেছে বলে অভিযোগ করে তালেবান সরকার। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। এর জেরে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে পাকিস্তানে হামলা করে আফগানিস্তান। এরপর উভয়পক্ষে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সশস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে মূলত ২০২২ সাল থেকে। ওই বছর ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্ষমতায় থাকাকালে ইমরান তালেবানের মধ্যস্থতায় টিটিপিকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছিলেন। পরে সে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলেও হামলার পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। সম্প্রতি সম্পর্ক আরও অবনতি হয়েছে। কারণ, ইসলামাবাদ আফগানিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা বাড়িয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু টিটিপি যোদ্ধাদের ঘাঁটি বলে দাবি করা হচ্ছে। কোন দিকে যাবে পরিস্থিতি? পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আসিফ দুররানি। তিনি মনে করেন, এই সংঘাত বড় বা গুরুতর কিছুতে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, আফগানিস্তানের তুলনায় পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা অনেক বেশি। আসিফ দুররানি আরও বলেন, পরিস্থিতি যতই সংকটময় হোক না কেন, কূটনীতির পথকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুই দেশের সমস্যার কেন্দ্রে রয়েছে টিটিপি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান)। আফগান সরকার নিজেদের ভূখণ্ডে টিটিপির উপস্থিতির কথা স্বীকার করছে না। ফলে এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্কে উত্তেজনা থাকেই যাবে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |