মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় ভূমিকা
কোরআন-হাদিসের আলোকে পরিচালিত হলে জীবন হবে সুন্দর ও আলোকিত
দোয়া মাহফিলে আলহাজ এমএম এনামুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমরা যা জানো তা মান্য করে চলো। তাহলে তোমরা আল্লাহওয়ালা হতে পারবে, আমি এটা শুনেছি আল্লামা শাহ আহমাদ শফীর মুখে। তার সঙ্গে এক প্রোগ্রামে আমি ছিলাম। তার এ কথা সবার অন্তরে প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। তোমরা এতদিন পড়াশোনা করে অনেক কিছু জেনেছো। এখন শুধু মেনে চলতে থাকলে তোমাদের জীবন আলোকিত ও সুন্দর হবে। অন্তরে ইখলাস রাখবে। না হয় তোমাদের এই ইলম বেকার ও নিষ্ফল হবে। তিনি আরও বলেন, তোমরা সবাই মা-বাবার সঙ্গে সৎ ব্যবহার করবে। শিক্ষকদেরকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করবে। বন্ধু ও প্রতিবেশীদের প্রতি আন্তরিকতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। ছাত্রদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে প্রতিবছর তিনজন ছাত্রকে ওমরাহ করানোর ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ হায়দার হোসেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক গাজী আমানুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তেলায়েত হোসেন, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, মাওলানা হাবিবুর রহমান কাজল, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, জামিয়া ইসলামিয়া রেলওয়ে তেজগাঁও মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুজিবুর রহমান ফয়েজি, দারুল উলুম জমিরিয়া কেরানীগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আলী আকবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গাজী আহমদ, শাহজাহান, আব্দুল কাদের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ হায়দার হোসেন বলেন, আমরা আমাদের শৈশবে এমন সুন্দর প্রতিষ্ঠান পাইনি। আমরা ইসলামের শিক্ষা পেয়েছি আমাদের মায়ের কাছে। মাকে দেখতাম সুর করে জিকির করতেন ও গজল গাইতেন। তার একটা গজল এখনও কানে বাজে, আল্লাহ যদি পাখি বানাতেন তাহলে উড়ে যেতাম মদীনায়। আমার ভাই এনামুল হক খুব মা-ভক্ত ছিলেন। আমি মনে করি মায়ের দোয়াই তাকে আল্লাহ আজকে এত সম্মান, সুখ্যাতি ও সমৃদ্ধি দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার ভাইকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করেন। মাদরাসার শিক্ষক মুফতি খুবাইব ও মাওলানা আলী আকবারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল এগারটায়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে হেফজ বিভাগের ছাত্র মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি, হামদ ও নাত পরিবেশন করে মুহাম্মদ আতাউল্লাহ সালমান ও ওয়াসিফুর রহমান। আরবি ভাষায় বক্তৃতা করে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হুমায়ূন কবির ও ইংরেজিতে বক্তৃতা করে মুহাম্মাদ আজহারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মাদরাসার প্রধান দায়িত্বশীল শাইখুল হাদিস আল্লামা ইলিয়াস আলী কাসেমী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা মাহফুল হক, মুফতি মুহাম্মাদ জিলালুদ্দিন, মাওলানা মুজিবুর রহমান ফয়েজিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। মাওলানা মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আলহাজ এমএম এনামুল হক সাহেব ইসলাম ও মুসলমানের খাদেম, মানবতার সেবক, হাজার হাজার মসজিদ মাদরাসা তার সরাসরি অনুদানে সমৃদ্ধ। মক্কা-মদীনায় আমি দেখেছি মানুষের খেদমতে তিনি সব উজাড় করে দিতে আগ্রহী। বুখারি শরিফের শেষ দরস প্রদান করেন নানুপুরের পীর সাহেবের বিশিষ্ট খলিফা মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইমাম বুখারি অনেক বড় মুহাদ্দিস ছিলেন। প্রায় ছয় লক্ষ হাদিস তার মুখস্থ ছিল। তিন লক্ষ সহিহ হাদিস থেকে বাছাই করে মাত্র সাত হাজার দুইশ’ পঁচাত্তরটি হাদিস তিনি এই গ্রন্থে স্থান দিয়েছেন। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |