স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছি
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সুফলটা যেন বাংলার জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারি, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি এবং আর্থ-সামাজিকভাবে যেন আমরা উন্নত হতে পারি, উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে যেন একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যার সুফল দেশবাসী পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৯ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার ফলে এই অর্থবছরের শেষ নাগাদ জাতীয় প্রবৃদ্ধি আমরা ৮ ভাগে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫১ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। এটুকুই আমাদের তৃপ্তি। বিশ্বে বাংলাদেশকে আমরা এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, সততাই হলো সব থেকে বড় শক্তি। আর সেই শক্তি ছিল বলেই সব ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবেলা করতে পেরেছিলাম। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার একটা কথা ছিল, একটা বিপ্লে বর পর সমাজে একটা বিবর্তন আসে। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে সেসব দেশেই এমনটি হয়, পরিবর্তন বা বিবর্তনের পর কিছু লোক আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়। সেটা যেন সমাজে স্থান না পায় সেদিকে লক্ষ রেখেই তিনি এই বাকশাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়নকালেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করায় সে রিপোর্ট আর বাস্তবায়িত হতে পারেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বেঁচে থাকলে আর পাঁচ-সাত বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী হয়ে গড়ে উঠতে পারত। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |