বগুড়ার শেরপুরে আবাদী জমিতে পুকুর খনন,ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
|
বগুড়ার শেরপুরে ভূমি
ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে
শেরপুর উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৬ মার্চ) সরকারী ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও অভিযান
পরিচালনা করেছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি জামশেদ আলাম রানা । দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শুবলী এলাকায় এ অভিযান
পরিচালনা করা হয়। জানা
যায়, শুবলী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ আবাদি জমির মাটি
কেঁটে পুকুর খনন করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি
জামশেদ আলাম রানার নেতৃত্বে ও শেরপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান
আদালত পরিচালান করা হয়। পুকুর খননের ব্যবহৃত দুই ড্রেজার গুড়িয়ে দেন এবং ৫
হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ![]() ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি জামশেদ আলাম রানা । উপজেলা
সহকারি কমিশনার ভূমি জামশেদ আলাম রানা বলেন, জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে
পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
করে জরিমানা করা হয়েছে। তবে যাঁরা খনন করেছেন, তাঁরা প্রকৃতি পরিবর্তনের
জন্য কোনো আবেদন করেননি। এ সময় তিনি উপস্থিত লোকজনকে বলেন, আব্দুস সামাদ
পূর্বানুমোদন না নিয়ে আবাদি জমির টপ সয়েল নষ্ট করেছেন বিধায় তাকে জরিমানা
করা হয়েছে। তিনি
উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্য আরো বলেন, শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের আবাদি
জমির টপ সয়েল নষ্ট করে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এতে করে
আবাদি জমির উর্বরতা নষ্টসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা ও ভাঙগন দেখা
দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার আবাদি জমি রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। তাছাড়া আবাদি জমির
মাটি কেটে পুকুর খনন করায় জমির শ্রেণি পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে সরকার বিপুল
পরিমান রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার
আহবান জানান। তিনি
আরোও বলেন, জরুরী প্রয়োজনে পুকুর কাটার দরকার হলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও
প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১০৭ ধারা মোতাবেক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে
জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে মাটি কাটার অনুমোদন নিতে হয়। পূর্বানুমোদন
ব্যাতীত আবাদি জমি নষ্ট করে মাটি কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ বলেন, একদিকে পুকুর খনন যেমন আইনবিরোধী তেমনি ফসল নষ্ট করে পুকুর খনন করায় প্রকৃতিরও গুরুতর ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ![]() বগুড়ার শেরপুরে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দশের অধিক ইউনিয়নে চলমান রয়েছে বহু পকুরের খননের কাজ । এ উপজেলার অনেক গ্রামের দিকে তাকালে যে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ চোখে পড়ত তা এখন শুধুই পরিতাপের। গ্রামগুলোতে এখন আর বিস্তীণ মাঠ চোখে পড়ে না। চোখে পড়ে শুধু পুকুর আর পুকুর। পুকুর খনন করতে গিয়ে জমি মালিকরা গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের ব্রিজের মুখে মাটি দিয়ে পাড় বেঁধে দিচ্ছেন। প্রশাসনের ভয়ে দিনের আলোতে অধিকাংশ পুকুরের খনন কাজ বন্ধ থাকলেও রাতভর চলে মহাকর্মযজ্ঞ। ডেল্টা টাইমস্/ শহিদুল ইসলাম শাওন/সিআর/জেড এইচ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |