১ অক্টোবর থেকে
বান্দরবানের কেওক্রাডং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() বান্দরবানের কেওক্রাডং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “সব দিক বিবেচনা করে কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় পর্যটক ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান নিয়মকানুন মেনে পর্যটকেরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় দীর্ঘদিন ধরে কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছিল। এছাড়া পর্যটন ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিরা কেওক্রাডং ছাড়াও থানচি উপজেলার রেমাক্রী ও নাফাখুমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জেলা আবাসিক হোটেল-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, “গত ৬ জুন রুমার বগালেক এবং থানচির তিন্দু ও তুমাতুঙ্গি এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এর পর থেকেই পর্যটকের আগমন বেড়েছে। কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হলে পর্যটক প্রবাহ আরও বাড়বে। তবে নাফাখুম খুলে দেওয়ার দাবিও জোরালো হয়েছে।” জেলা প্রশাসক আরও জানান, রেমাক্রী ও নাফাখুম এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি এখনো বিবেচনায় রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ধাপে ধাপে সেসব এলাকাও খুলে দেওয়া হবে। এর আগে ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ওই বছরের মাঝামাঝি থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতা বেড়ে যায়। কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার যোগাযোগের অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তার কারণে ২০ অক্টোবর থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরে ধাপে ধাপে কয়েকটি এলাকায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রোয়াংছড়ির দেবতাখুমও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |