পূজার ছুটি শেষে প্রচারণায় ফিরেছেন রাকসুর প্রার্থীরা
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() পূজার ছুটি শেষে প্রচারণায় ফিরেছেন রাকসুর প্রার্থীরা রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেখা যায় প্রার্থীদের। এদিন সকাল থেকেই পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালান তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দিচ্ছেন প্রার্থীরা।শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন ব্যালট নম্বর ও নির্বাচনী অঙ্গীকার সম্পর্কিত প্রচারপত্র। শিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, রাকসু একটি উৎসবমুখর পরিবেশ ধারণ করেছিল, আমরা দেখেছিলাম ক্যাম্পাসে একটি সাজসাজ ব্যাপার ছিল। সেটা পোষ্যকোটা ইস্যুকে সামনে এনে নষ্ট করা হয়েছিল। এছাড়াও বারবার রিসিডিউল করার ফলে আমেজে ভাটা পড়েছে। এরই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মনে সন্দেহ সংশয় তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের মনের এই সংশয় দূর করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের। সেই সঙ্গে রাকসুর চলমান ট্রেনকে যেই বাঁধা দিতে আসবে, আমরা মনে করি সে এই ট্রেনকে থামাতে পারবে না, বরং কাটা পরে যাবে। তিনি আরও বলেন, আর কোনো টালবাহানা বা রাকসু বানচাল করার চিন্তাগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরে আসার আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত রাকসু দেওয়ার ব্যাপারে আপনারা আন্তরিক হন। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের রেসপেক্ট ঠিক থাকবে। ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, দীর্ঘ ছুটির পর আজ আমরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করলাম। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস হওয়ায় আমাদের প্যানেল থেকে আমরা জোহা স্যারের কবর জিয়ারত করেই প্রচারের কাজ শুরু করেছি। বৃষ্টির জন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী কম থাকায় আমরা হলগুলোর দিকে ফোকাস করছি। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম জানান, রাকসু নির্বাচন পেছানোর কারণে প্রচারণার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৫ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে পারবে প্রার্থীরা। এছাড়া ১৬ অক্টোবর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে থাকেন। এসময় ছাত্রদলসহ অন্যান্য অনেক প্রার্থীরা ভোট পেছানোর দাবি তোলেন। পরে জরুরি সভায় ভোটগ্রহণ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এদিকে রাকসুতে ২৩টি পদে লড়ছেন ২৪৭ প্রার্থী। এরমধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ এ পর্যন্ত ১২টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার রাকসুতে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫, পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬। সর্বমোট ৩০৬ জন প্রার্থী হয়েছে রাকসু, সিনেট নির্বাচনে। এদিকে হল সংসদ নির্বাচনে ৬০০ জন প্রার্থী হয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |