যে ভিটামিনের অভাবে হাত-পায়ের তালু ঝিনঝিন করে
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() যে ভিটামিনের অভাবে হাত-পায়ের তালু ঝিনঝিন করে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন উপসর্গ যদি বারবার দেখা দেয় কিংবা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে তা হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এ সমস্যা ভবিষ্যতে স্নায়ুর ক্ষতিসহ বড় বিপদের কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার হাতের তালু কিংবা পায়ের পাতায় ঝিনঝিন করে— ভিটামিন 'ই' স্নায়ুর সুরক্ষায় দরকারি ভিটামিন 'ই'। এর অভাবে স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে তালু, পায়ের পাতায় ঝিঁঝি ধরা বা অস্বস্তি দেখা দেয়। নিয়মিত এ সমস্যা দেখা দিলে আপনার খাবারে ভিটামিন 'ই' যথেষ্ট আছে কিনা খেয়াল রাখুন। আর ভিটামিন 'ই'-এর উৎস হচ্ছে— বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, পালংশাক, অ্যাভোকাডো। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্নায়ুর বন্ধু ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। বিশেষ করে বি১ (থায়ামিন), বি৬ (পাইরিডক্সিন) ও বি৯ (ফোলেট)-এর অভাব হলে স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে। সে কারণে ঝিনঝিন, শিরশিরে ভাব কিংবা অবশ লাগা দেখা দিতে পারে হাত ও পা। আর ভিটামিন বি-এর উৎস হচ্ছে— দুধ, ডিম, মাছ, সবুজ শাকসবজি, ডাল ও বাদাম। ভিটামিন বি১২ ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলে শুরু হয় ‘পিঁপড়া হাঁটার’ অনুভূতি। ভিটামিন বি১২-এর অভাবে তালু-পায়ে পিঁপড়া হাঁটার মতো অনুভূতি হয়। সেই সঙ্গে হাত-পা অবশের মতো লাগে। বেশি সমস্যা দেখা দিলে স্নায়ু স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর ভিটামিন বি১২-এর উৎস হচ্ছে— দুধ, ডিম, মাংস, লিভার, মাছ। ভিটামিন 'ডি' ভিটামিন 'ডি' শুধু হাড় শক্ত নয়, স্নায়ুরও কাজ করে। আর ভিটামিন 'ডি'-এর অভাবে তালুতে চুলকানি, অস্বস্তি, ঝিনঝিনি অনুভূতি দেখা দেয়। এ ভিটামিন স্নায়ুর সঠিক কাজের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন 'ডি'-এর উৎস হচ্ছে— সকালবেলার রোদ; ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন সপ্তাহে ৩-৪ দিন। ডিমের কুসুম ও চর্বিযুক্ত মাছ। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু স্নায়ুর কারণে হাতের তালু ও পায়ের তলা ঝিনঝিন, সেহেতু আরও কয়েকটি কারণে হতে পারে। আর হাত বা পায়ের পাতায় ঝিনঝিনি ভাব বা তালুর চুলকানি—এই ছোট ছোট লক্ষণগুলো অবহেলা করলে বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। শরীর আপনার সঙ্গে কথা বলছে এই উপসর্গগুলোর মাধ্যমে—তাই জেনে নিন আর যেসব কারণে হতে পারে আপনার হাত কিংবা পায়ের পাতায় ঝিনঝিনি। এই যেমন ডায়াবেটিসের কারণে এ সমস্যা হতে পারে। কারণ রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে স্নায়ুতে সমস্যা হয়। অটোইমিউন ডিজঅর্ডারের কারণেও হতে পারে। কারণ শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজের স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে। আবার দেখা গেছে, অনিয়মিত খাবার ও ঘুম স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত করতে পারে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |