|
কিনব্রিজে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() কিনব্রিজে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন তার আগে রবিবার (৯ নভেম্বর) সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ এলাকায় বর্ণিল আয়োজনে উন্মোচিত হলো সিরিজের ট্রফি। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বার্লবির্নি যখন ট্রফি হাতে দাঁড়ালেন তখন পেছনে ক্যানভাস হয়ে থাকল তারই দেশের এক কীর্তিমান স্যার মাইকেল কিনের নামে নামকরণ হওয়া লাল রঙের ‘কিনব্রিজ’। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট নগরের কিনব্রিজ সংলগ্ন আলী আমজদের ঘড়িঘরের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজন করে বিসিবি। এ সময় দুই অধিনায়কের সঙ্গে ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমসহ বিসিবির কর্মকর্তারা। বাংলাশে ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে দেশের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে সিরিজের ট্রফি উন্মোচনের ধারা শুরু করেছে বিসিবি। সিলেটের কিনব্রিজ এলাকায় যদিও ট্রফি উন্মোচনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারত নারী দলের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উন্মোচন হয়। ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি মিলে ট্রফি উন্মোচন করেন। কিনব্রিজের নাম যার নামে সেই স্যার মাইকেল কিনের দেশ আয়ারল্যান্ড। ১৯৭৪ সালে লিসেল্টনের লিস্টোয়েলের ব্যারাডাফে জন্মগ্রহণ করা কিন ব্ল্যাকরক কলেজে পড়ার সময় সিনিয়র রাগবি দলের খেলোয়াড় ছিলেন। অতিরিক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন দলটির ক্রিকেট দলে। ১৮৯৮ সালে স্যার কিন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে (বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ) নিযুক্ত হন। ১৯০৭ সাল পর্যন্ত গভর্নরের আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত রাজপুতানায় (বর্তমানে রাজস্থান রাজ্য) সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কিন। ১৯১৪ সাল নাগা তিনি ডেপুটি কমিশনার হন। মাইকেল কিন ১৯১৯ সাল পর্যন্ত তিনি রাজপুতানার বিচার বিভাগীয় সচিব এবং পরবর্তীতে যুক্ত প্রদেশ সরকারের (বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং অযোধ রাজ্য) প্রধান সচিব হন। ১৯৩২ সালে আসামের গভর্নর হিসেবে স্যার এগবার্ট হ্যামন্ডের স্থলাভিষিক্ত হন কিন, সেই বছরই নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। আসামের গভর্নর থাকার সময় সুরমা নদীর উপর তার নামে সেতু নির্মিত হয়। লৌহ নির্মিত ঐতিহ্যবাহী সেতুকে সিলেটের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত গভর্নর ছিলেন তিনি। একই বছরের ১০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের নরফোক কাউন্টির নিজ বাড়িতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন কিন। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |