|
বিআইবিএমের গবেষণা প্রতিবেদনে তথ্য
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো গলা টিপে মারার শামিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
|
ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদ, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় বাড়ছে উৎপাদন খরচ। বাড়ানো হয়েছে শ্রমিকদের মজুরিও। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের কাক্সিক্ষত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এমন সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো মানে গলা টিপে মারার শামিল। তিনি বলেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে। সারা বিশ্বের কোথাও জ্বালানির দাম আমাদের মতো বাড়ানো হয় না। কিন্তু হঠাৎ করে ১৩২ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ দাম বাড়লে এ খাতে উৎপাদন খরচ বাড়বে ৫ শতাংশ, যা এ খাতের উদ্যোক্তাদের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এটি বাস্তবায়ন হলে বস্ত্র শিল্পের উদ্যোক্তারা গভীর সংকটে পড়বেন। বিজিএমইএ সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের চাপ পাচ্ছি না। আবার অনেক ক্ষেত্রে গ্যাস পেলেও পর্যাপ্ত নয়; আবার যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করছি তার চেয়ে বেশি বিল পরিশোধ করছি। অর্থাৎ গ্যাস ব্যবহার না করে তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে বাতাসের মূল্য দিচ্ছি! আগামী দুই বছর গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়ে পোশাক শিল্পের মালিকদের এ নেতা বলেন, অবকাঠামোগত সমস্যা, কর্মপরিবেশ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন কারণে বিগত সময়ে ব্যবসায়ীরা যে লোকসান গুনছেন, তা পূরণে ব্যবসায়ীদের সময় দিতে হবে। এ জন্য আরও দুই বছর সময় চান ব্যবসায়ীরা। এ সময় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ২০১৯ সালকে এ খাতের টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে বলেন, এ সময় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে এ শিল্পে মহামারী রূপ ধারণ করবে, যা সামাল দেয়া কঠিন হবে। শিল্পের কথা বিবেচনা করে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১০ বছরে ছয়বার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ক্যাপটিভ ও যানবাহনের সিএনজির দাম। দুই চুলার গ্যাস বিল ছিল ৪৫০ টাকা, যা এখন ৮০০ টাকা। নতুন প্রস্তাবে তা ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এক চুলার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত দর ১ হাজার ৩৫০ টাকা। ২০০৮ সালের এপ্রিলে প্রতি ঘনমিটার সিএনজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা। এখন তা ৪০ টাকা, যা বাড়িয়ে ৫৪ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে বিদ্যুতে ২০৮ শতাংশ, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৯৬ শতাংশ, শিল্পে ১৩২ শতাংশ ও বাণিজ্যিক খাতে ৪১ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |