পার্লামেন্ট ভেঙে নেপালে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৫৩ এএম

নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার তিনি এ ঘোষণা দেন।

একই সঙ্গে মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য নতুন তারিখও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল প্রথম দফা এবং ১০ মে দ্বিতীয় দফায় ভোট নেওয়া হবে।

তবে ওলির দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) একটা অংশসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা এ সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

পার্লামেন্ট ভেঙে নেপালে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা

পার্লামেন্ট ভেঙে নেপালে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা


নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, গতকাল সকালে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। সেখানে তিনি বলেন, তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হোক। এর আগের দিন শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি।

দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট, হিমালয়ান টাইমসসহ নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবিধানিক পরিষদ আইনের অধ্যাদেশের বিষয়টি নিয়ে চাপ বাড়ছিল কে পি শর্মা ওলির ওপর। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারিকে দিয়ে সেটি সইও করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর নিজ দলের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধিতাও চরমে পৌঁছেছিল। বিবদমান দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারম্যান ওলি। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড।

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) নেতা বিষ্ণু রিজাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি।

সাংবিধানিক পরিষদ আইনটি প্রধানমন্ত্রী ওলিকে বৈঠক ডাকা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ক্ষমতা দিয়েছিল। কোরাম পূর্ণ হওয়া তো দূরের কথা, মাত্র তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী হয়েছিলেন। তাঁর ডাকা গতকালের জরুরি বৈঠকেও মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।

এনসিপির মুখপাত্র নারায়ণকাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি নেওয়া হয়েছে। কেননা আজকের (গতকাল) বৈঠকে সব মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। এটা গণতান্ত্রিক রেওয়াজের বিরোধী এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতিকে পেছনে ঠেলে দেবে। এটা বাস্তবায়ন হতে পারে না।’

এনসিপির আরেক নেতা মাধব নেপালও বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি অসাংবিধানিক। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।’

একে ‘অসাংবিধানিক’ অভিহিত করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ দীনেশ ত্রিপাঠিও। তাঁর মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা সংবিধান ভেঙে দেওয়ার কোনো বিধানই নেই সংবিধানে। তিনি বলেন, যতক্ষণ নির্বাচিত পার্লামেন্ট থেকে সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে ততক্ষণ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া যায় না।

নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৭৫। ২০১৭ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করেছিল কে পি শর্মা ওলির দল এনসিপি। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০২২ সালে দেশটিতে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা। সূত্র : পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া।




ডেল্টা টাইমস্/এম আর/সিআর/জেড এইচ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com