পার্লামেন্ট ভেঙে নেপালে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার তিনি এ ঘোষণা দেন। পার্লামেন্ট ভেঙে নেপালে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) নেতা বিষ্ণু রিজাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। সাংবিধানিক পরিষদ আইনটি প্রধানমন্ত্রী ওলিকে বৈঠক ডাকা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ক্ষমতা দিয়েছিল। কোরাম পূর্ণ হওয়া তো দূরের কথা, মাত্র তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী হয়েছিলেন। তাঁর ডাকা গতকালের জরুরি বৈঠকেও মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। এনসিপির মুখপাত্র নারায়ণকাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি নেওয়া হয়েছে। কেননা আজকের (গতকাল) বৈঠকে সব মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। এটা গণতান্ত্রিক রেওয়াজের বিরোধী এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতিকে পেছনে ঠেলে দেবে। এটা বাস্তবায়ন হতে পারে না।’ এনসিপির আরেক নেতা মাধব নেপালও বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি অসাংবিধানিক। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।’ একে ‘অসাংবিধানিক’ অভিহিত করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ দীনেশ ত্রিপাঠিও। তাঁর মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা সংবিধান ভেঙে দেওয়ার কোনো বিধানই নেই সংবিধানে। তিনি বলেন, যতক্ষণ নির্বাচিত পার্লামেন্ট থেকে সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে ততক্ষণ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া যায় না। নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৭৫। ২০১৭ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করেছিল কে পি শর্মা ওলির দল এনসিপি। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০২২ সালে দেশটিতে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা। সূত্র : পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া। ডেল্টা টাইমস্/এম আর/সিআর/জেড এইচ
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |