নাটক নিয়ে দর্শকদের দীর্ঘ অভিযোগ, জবাব দিলেন দীপা খন্দকার
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() নাটক নিয়ে দর্শকদের দীর্ঘ অভিযোগ, জবাব দিলেন দীপা খন্দকার দীপা খন্দকার অভিনীত সর্বশেষ আলোচিত নাটক ছিল কেএম সোহাগ রানা পরিচালিত পারিবারিক গল্পের নাটক ‘অনুতপ্ত’, যা দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছিল। সম্প্রতি তিনি যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নতুন ফ্যামিলি সিরিজ ‘এটা আমাদেরই গল্প’-তে। এই সিরিজের সেট থেকেই সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দীপা খন্দকার। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পরিবার কিংবা পারিবারিক গল্প ফের নাটকের কেন্দ্রে আনার আহ্বান জানান অভিনেত্রী। সঙ্গে বর্তমানে টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকের ধরন নিয়ে দীর্ঘদিনের দর্শকদের একটি অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে একটা কমপ্লেইন সব সময় শুনতাম, যে এখন খুব ছোট ছোট নাটক হয়, দুই-তিনজন আর্টিস্ট, কিছুই ফ্যামিলি-ট্যামিলি কিছু থাকে না, দেখতে কেমন যেন লাগে। একটু দেখি, দেখার পরে নাটকটা শেষ হয়, তারপর ভুলে যাই, যে গল্পটা এই ছিল। পরিবার নিয়ে নাটক হয় না কেন?’ এরপর দীপা খন্দকারের সংযোজন, মোস্তফা কামাল রাজের নতুন সিরিজ ‘এটা আমাদেরই গল্প’ সেই পারিবারিক গল্পের অভাবই পূরণ করতে চলেছে। অভিনেত্রীর কথায়,‘আমি স্পেশালি মোস্তফা কামাল রাজকে ধন্যবাদ দিব এর জন্য, যে উনি চিন্তা করেছেন যে আসলে এই ট্রেন্ডটা ভাঙা উচিত। পরিবার ভাঙতে ভাঙতে আসলে আমরা পরিবারের ভ্যালুটাই ভুলে যাচ্ছিলাম। নাটক কিন্তু জীবন বদলের হাতিয়ার বলি আমরা। সো নাটকে আমরা যেটা দেখি, ওইটার অনেক কিছুই কিন্তু মানুষের ওপরে এফেক্ট করে।’ দীপা খন্দকার মনে করেন, যখন দর্শকরা নাটকে একটি পরিবার দেখবেন, যেখানে বড়দের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে, তখন তরুণ প্রজন্ম সেই শিক্ষা গ্রহণ করবে। বড়দের সাথে কুশল বিনিময় করা, বাইরে যাওয়ার সময় বলে যাওয়া বা ফিরে এসে সালাম দেওয়ার মতো পারিবারিক মূল্যবোধগুলো দেখে দেখে শেখার সুযোগ তৈরি হবে। এই সিরিজটিকে একটি বড় প্রোজেক্ট হিসেবেও অভিহিত করেন দীপা খন্দকার। বলেন, ‘বড় প্রোজেক্ট বলতে আমি বলছি না যে এটা অনেক লেন্দি, অনেক লম্বা নাটক হবে, সেরকম না। যতটুকু হবে, খুব সুন্দর করে অনেক বড়সড় আয়োজনে আমরা অনেক আর্টিস্ট মিলে কাজটা করছি।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নাটকটি দেখে দর্শক যদি একটুখানি মূল্যবোধও শিখতে পারেন, তবে এই কাজটি সার্থক হবে এবং এর সাথে যুক্ত সকল শিল্পী সার্থক হবেন। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |