প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মহিষ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা অবহেলিত
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() মহিষ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা অবহেলিত উপদেষ্টা বলেন, মহিষের দুধ থেকে শুধু দই নয়, চিজসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে খামারিদের আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব পণ্য রপ্তানিযোগ্য হিসেবেও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে সাভারের মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত ‘বৈজ্ঞানিক সম্মেলন–২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মিলিয়েই দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। কিন্তু অনেকে খাদ্য উৎপাদন বলতে কেবল কৃষিকেই বোঝেন। কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক ও আগাছানাশকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় গরু, ছাগল ও মহিষের জন্য পর্যাপ্ত ঘাসের অভাব দেখা দিয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির নামে মহিষের চারণভূমি হ্রাস পাচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়। তিনি কীটনাশক ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং খাদ্য উৎপাদনে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গবাদিপশুর তালিকায় মহিষকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রাণিসম্পদ খাতে মহিষের অবদান এখনো অবমূল্যায়িত। দেশে মহিষের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়া উদ্বেগজনক; চারণভূমির অভাব এখন মহিষ পালনের অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ওমর ফারুক। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। সম্মেলনে ভারতের হরিয়ানার ড. প্রীতিশ প্রান্তিক কৃষকের দৃষ্টিকোণ থেকে মুরাহ মহিষ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ড. হিরন্ময় বিশ্বাস ইতালির দুধ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই মহিষ দুধ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তৃতা দেন ড. গৌতম কুমার দেব। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, খামারি প্রতিনিধি এবং মহিষসেবা-সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা সাভারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার চত্বরে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন এবং আধুনিক সুবিধাসমূহ ঘুরে দেখেন। এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের পরিচালক মো. শাহজামান খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |