মামদানির বিজয়ে মার্কিন মনজগতে পরিবর্তনের হাওয়া
রায়হান আহমেদ তপাদার:
প্রকাশ: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৫৮ এএম

মামদানির বিজয়ে মার্কিন মনজগতে পরিবর্তনের হাওয়া

মামদানির বিজয়ে মার্কিন মনজগতে পরিবর্তনের হাওয়া

নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশেও ছিল বিপুল কৌতূহল ও উৎসাহ। কারণ, মুসলমান প্রার্থী জোহরান মামদানি, যাঁকে বলা হয়েছে নিউইয়র্কের বাঙালি আন্টিদের প্রার্থী-তিনিই ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী। নিউইয়র্ক সিটি ‘বাঙালি আন্টিদের’ নিরাশ করেনি। জোহরান মামদানি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন এবং ইতিহাস গড়লেন। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এখন একজন অভিবাসী মুসলমান! তাঁর গুরুত্ব ও পরিচিতি থাকবে সারা বিশ্বে। জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ায় সারা বিশ্বের মুসলমানরা অবশ্যই আনন্দিত, তবে মামদানিকে তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য নিউইয়র্কের জনগণ নির্বাচিত করেননি। তাহলে মাত্র ৯ শতাংশ মুসলমান ভোট নিয়ে তিনি প্রাইমারি থেকেই বিদায় নিতেন। তাঁর পরিচিতি ও দিগন্ত আরও বিশাল। তাই তো নিউইয়র্কের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী তাঁকে মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছে। মাত্র এক বছর আগের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিউইয়র্ক শহরের প্রতিটি অঞ্চলে (বোরো) ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট বেড়েছিল। কিন্তু, বছর ঘুরতেই সেই শহরের বাসিন্দারা যেন তার কথা কানেই তুললেন না। ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছিলেন জোহরান মামদানিকে ভোট না দেওয়ার জন্য, কিন্তু ভোটাররা তা শোনেননি। ট্রাম্প হুমকি দিলেন জোহরান মামদানি বিজয়ী হলে তিনি নিউইয়র্কের জন্য সরকারি বরাদ্দ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু, তাও আমলে নিলেন না ভোটাররা। তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় মার্কিন মনজগতে পরিবর্তন এসেছে?রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের হিসাবে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রায় ৬৫ শতাংশ বাসিন্দা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি অনুগত। তবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট নেতাদের অনেকে ধনকুবের রিপাবলিকানদের হাতে বাঁধা।

নিউইয়র্ক মহানগরীর নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি ঐতিহাসিক বিজয়ের পর বললেন, 'জনতার এই রায় পরিবর্তনের জন্য' এবং এটি নিউইয়র্ক নগরীকে বাসযোগ্য করে তোলার রায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যত মুসলিম মেয়র মামদানি তার মধ্যে অন্যতম। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় অ্যান্ড্রু কুয়োমো নিউইয়র্কবাসীর কাছে পরিচিত মুখ ছিলেন। কিন্তু যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে গভর্নরের পদ ছাড়তে হয়। এরপর তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হতে চেয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনও। ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইলন মাস্ক বা মাইক ব্লুমবার্গের মতো যারা মনে করেন অর্থ দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়, জোহরান মামদানির বিজয় তাদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। অ্যান্ড্রু কুয়োমোর নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন ধনকুবেররা দুহাতে টাকা ঢাললেও জোহরানের নির্বাচনী খরচ জুগিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শুধু নিউইয়র্ক নয়, বিশ্ববাসী দেখল সাধারণ মানুষের অর্থ ও পরিশ্রমে, সাধারণ মানুষের ভোটে একজন সাধারণ মানুষই নির্বাচিত হলেন। ভোটের বাক্সে ৬০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন জোহরান মামদানি। এ কথা বলা যায়, অর্থের বাহাদুরি দেখানো মার্কিন মুলুকের বাসিন্দাদের পুরোনো মনোভাব পাল্টে যাচ্ছে? মার্কিন টেলিভিশনগুলোয় প্রচারিত তরুণ ও সাধারণ নাগরিকদের বক্তব্যে বোঝা গেল, তারা এখন দুর্নীতিবাজ-অর্থলোভী ও পুরোনো ধ্যানধারণায় আটকে থাকা রাজনীতিকদের নেতা হিসেবে মানতে নারাজ। তারা এমন নেতা চান যিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝবেন, গৃহহীনদের মাথার ছাদ নিশ্চিত করবেন এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও সাশ্রয়ী মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করবেন। তারা চান তাদের করের অর্থ দেশের বাইরে সামরিক আধিপত্য বিস্তারে খরচ না হোক। এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ যখন রেকর্ড সংখ্যক ভোট দিয়ে রিপাবলিকান ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচিত করলেন তাদের অনেককে সম্প্রতি দেশজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজা চাই না বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। 

সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মার্কিন তরুণদের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। তারা ধনকুবের নেতাদের পেছনে ছোটাকে মরীচিকার পেছনে ছোটা বলে মনে করছেন। গত এক বছরে তারা অন্তত এটুকু বুঝতে পেরেছেন যে ধনীরা শুধু নিজেদের ভাগ্যের উন্নতির কথাই ভাবেন। তারা সাধারণ মানুষের মঙ্গলের কথা ভাবেন না। তাদের অসাধু কোটিপতি, গণহত্যা-সমর্থক ইহুদি ধর্মগুরু, ইসলামবিদ্বেষ প্রবণতা, তীব্র ঘৃণা, কেনা ও পালিত টেলিভিশন স্টেশন, ভুয়া খবর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ইনস্টাগ্রাম ফিড; এমনকি তাদের প্রেসিডেন্ট-সবকিছুই কাজে লাগানো হয়েছে। তবুও তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিকে মেয়র নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সপ্তাহের উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলপন্থি ধর্মগুরুদের একটি দল মামদানির বিরুদ্ধে একটি চিঠি প্রকাশ করে। এতে একমাত্র মুসলিম প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন তারা ধর্মযুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন; বিস্তারিত তুলে ধরেন। তাদের চিঠির শিরোনাম ছিল ‘দ্য ইহুদি মেজরিটি’। এটি ছিল ভুয়া খবর এবং মিথ্যা দাবি। কারণ ধনী ও প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মগুরুদের এই দলটি আসলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদি নিউইয়র্কবাসীর প্রতিনিধিত্ব করে বলে বিশ্বাস করার কোনো প্রমাণ নেই। এটি মূলত ইসরায়েলি সরকারের কাছ থেকে শেখা প্রচারণার এক কৌশল, যা অগণিত অন্যান্য ইহুদি ধর্মগুরুর সঙ্গে আরও যারা এই অপপ্রচারের অংশ হতে অস্বীকার করেছিল, তাদের অসম্মান করার তৎপরতা। বিপরীতে, ইহুদি নিউইয়র্ক বাসীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মামদানিকে সমর্থন করেছিল। এমনকি তার পক্ষে প্রচারও করেছে। যুদ্ধবাজ ইহুদিবাদী ধর্মগুরুদের বিবৃতি একটি অদ্ভুত ও অসংগত যুক্তি দিয়ে শুরু হয়েছিল-'যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইহুদি পণ্ডিতরা জনগণের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় ঘোষণা করছি, আমাদের দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ইহুদিবাদ-বিরোধিতা এবং এর রাজনৈতিক স্বাভাবিকীকরণের মুখে আমরা চুপ থাকতে পারি না।’

যখন ইহুদি ধর্মগুরুরা কেবল তাদের ধর্মসভায় এ কথা বলেন, তখনও তারা ব্যক্তিগতভাবে তা দাবি করতে পারেন না। এই অসংগতির অর্থ হলো,  জনগণকে কীভাবে ভোট দিতে হবে তা বলার জন্য ধর্মগুরুদের কর্তৃত্ব দাবি, একই সঙ্গে তাদের কর মওকুফের সুযোগ নিতে ‘গির্জা ও রাষ্ট্রের পৃথককরণ’-এর ভান করা।তবে যুক্তিগত অসংগতিই একমাত্র সমস্যা ছিল না। ইহুদি ধর্মগুরুদের বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে মামদানিকে টার্গেট করেছিল। কারণ তিনি যা দেখছিলেন তাই স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিলেন এবং ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশ্বের অসংখ্য অন্যান্য সংস্থার মতোই তিনি গাজার গণহত্যাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেছিলেন। যে ধর্মগুরুরা এই গণহত্যাকে সমর্থন করেছিলেন, এবং বিশ্ব যাতে অন্যভাবে দেখে, তা চেয়েছিলেন, তাদের কাছে এই সত্যকথনের সামান্যটুকুও পছন্দ হয়নি। নিশ্চিতভাবেই, গাজায় গণহত্যা সমর্থনকারীদের মধ্যে সব ধর্মগুরু ছিলেন না। মানবতাবিরোধী ইসরায়েলি অপরাধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেখা প্রতিক্রিয়াশীল পণ্ডিতদের এই বর্ণবাদী, কুসংস্কারাচ্ছন বিবৃতিতে অসংখ্য ব্যক্তি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। অগণিত ইহুদি হাজার হাজার নিউইয়র্কবাসীর সঙ্গে যোগ দেন, যারা সক্রিয়ভাবে মামদানিকে সমর্থন করেছিলেন এবং তাঁকে নির্বাচিত করার জন্য কাজ করেছেন। এটি গণহত্যাকারী জায়নবাদীদের আরও ক্ষুব্ধ করে। গত জুনের মনোনয়ন নিশ্চিতের নির্বাচনের পর থেকে নিউইয়র্কে যা হয়েছে, তা ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে লড়াই ছিল না। এটি ছিল গাজায় গণহত্যাকে সমর্থনকারী ইহুদি নেতাদের এবং তাদের সংকুচিত হয়ে আসা নির্বাচনী এলাকাগুলোর মধ্যকার লড়াই। অন্যদিকে বিশ্বের চোখে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলিদের নৃশংস এবং এখনও প্রকাশমান গণহত্যার চিত্র। এই মেয়র নির্বাচনকে লাখ লাখ আমেরিকানের মার্কিন কোটিপতি শ্রেণি এবং তাদের মনোনীত ধর্মগুরুদের মানবতাবিরোধী অপরাধকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন সম্পদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি পরিমাপক বলা যেতে পারে।

গণহত্যার সমর্থক ইহুদি ধর্মগুরু, তাদের কোটিপতি পৃষ্ঠপোষক, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট, ফক্স নিউজের নেতৃত্বে তাদের দৈনিক ট্যাবলয়েড এবং সিবিএস নিউজের জন্য নতুন কেনা ও লালিত মিডিয়া হাউসগুলো শহরের ইতিহাসে একমাত্র মুসলিম প্রার্থীকে শয়তান বলে উপস্থাপনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। তবুও তারা হেরেছে। তারা মুসলমানদের কাছে নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীর একটি জোটের কাছে হেরেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব বিশ্বাসে বলীয়ান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারকারী বিপুলসংখ্যক মুক্তমনা ইহুদি ভোটার।

জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় মামদানি গণহত্যাকারী ইহুদিবাদীদের দ্বারা পরিচালিত বিশাল ইসলামবিদ্বেষী ব্যবস্থার উন্মোচন করেছেন, যারা তাদের সমর্থিত ইউরোপীয় দখলদার উপনিবেশের পক্ষে লাখ লাখ মুসলিম মার্কিনকে হীন, বিচ্ছিন্ন ও শয়তান বলে তুলে ধরে। মামদানি একজন মুসলিম, একজন মুসলিম পিতা এবং একজন হিন্দু মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা করেন, যিনি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী দখলদার ঔপনিবেশিক বর্ণবাদী শাসনে বিশ্বাস করেন না।সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে ইহুদি, খ্রিষ্টান, মুসলিম, হিন্দু এবং সৌজন্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি জোট একত্রিত হয়ে তাদের বিদ্রোহী সত্তা ঘোষণা করে। মামদানির সাহস ও কল্পনার সামনে ডেমোক্রেটিক পার্টির কাপুরুষতা ও নিষ্ক্রিয়তা এবং এর নেতৃস্থানীয়দের দুর্বলতা, ব্যাপক জনঅসন্তোষ মার্কিন রাজনীতিতে মামদানি-পূর্ব এবং পরবর্তী যুগের মধ্যে একটি সন্ধিক্ষণকে চিহ্নিত করে। প্রভাবশালী মার্কিন রাজনীতিক বার্নি স্যান্ডার্স মনে করেন-তরুণ প্রজন্ম বুঝতে পারছে যে মার্কিন শাসন ব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং এটি কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে। সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। এই ব্যবস্থায় ধনীরা আরও ধনী হচ্ছেন। স্বল্প আয়ের মানুষদের ভাগ্য-উন্নয়নের কথা ভাবা হচ্ছে না। অর্থ ও ক্ষমতালোভী নেতাদের কথায় সাধারণ মানুষ বারবার প্রতারিত হচ্ছেন। তারা এখন পরিবর্তন চান।

জোহরান মামদানি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের ধনী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তরুণরা এমন নেতা চান যিনি বলবেন, তোমার ঘর নেই, সরকার ঘর দেবে; তোমার চিকিৎসার সামর্থ্য নেই, রাষ্ট্র সেই ব্যবস্থা করবে। জোহরান সেই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন।এখন দেখার বিষয়, নিউইয়র্কের ভোটারদের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাকি অংশের মানুষও জোহরান মামদানির মতো নেতাদের গ্রহণ করেন কি না, যারা নিজ এলাকার মানুষের কল্যাণকে সবার ওপরে স্থান দেন।যুক্তরাষ্ট্রে যে মুসলমান রাজনীতিকেরা ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, এর আরেকটি প্রমাণ ভার্জিনিয়া স্টেটসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন গাজালা ফেরদৌস হাশমি। তিনি চার বছর বয়েসে ভারত থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী স্টেটের দ্বিতীয় ব্যক্তি।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com