বাটা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() বাটা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন ১৮৯৪ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার জিলিন শহরে শুরু হয় বিখ্যাত বাটা-র পথ চলা। এর প্রতিষ্ঠাতা টমাস বাটা ছিলেন এক অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন উদ্যোক্তা। তিনি উন্নতমানের উৎপাদন পদ্ধতি চালু করেন এবং একইসাথে তাঁর শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেন। সেই সময়ে তিনি মানসম্পন্ন জুতা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন। এমন একটি ব্যবসা মডেল তিনি তৈরি করেন যেখানে শুধুমাত্র পণ্য উৎপাদন ছাড়াও বাটা কারখানাগুলো ঘিরে গড়ে ওঠে বাসস্থান, স্কুল ও স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। তাঁর এই সামাজিক দায়বদ্ধতার মডেল আজও বিশ্বের ৫৬টি দেশে বাটার কার্যক্রমে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাটা ২০১০ সালে চালু করে বাটা চিল্ড্রেন’স প্রোগ্রাম (বিসিপি)। তাদের এ প্রোগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরামর্শদান এবং পরিবেশগত সচেতনতার মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চার লক্ষেরও বেশি শিশু উপকৃত হচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্বের ৫৬টি দেশের প্রায় ৩২,০০০ কর্মী এই প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে বাটার এই আয়োজন ছিল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বাটা চিলড্রেনস প্রোগ্রামের আওতায় বাটা এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট (বিইই) ফোরামের সহযোগিতায় এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর অংশীদারিত্বে “ইয়ুথ-লেড ইনোভেশন ল্যাব” আয়োজন করে বাটা বাংলাদেশ। এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের প্রান্তিক পর্যায়ের তরুণদের ক্ষমতায়ন করা হয়। তাদের নতুন ধারণাগুলোকে টেকসই ব্যবসা মডেলে রূপান্তর করার জন্য পরামর্শ, সরঞ্জামসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। বুট ক্যাম্প চলাকালে বাটার কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক মেন্টর হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং তরুণদের প্রকল্প উন্নয়ন, প্রোটোটাইপ তৈরি এবং উপস্থাপনের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করেন। ২১ সেপ্টেম্বরের গালা ডে-তে বিচারক প্যানেল, বাটার শীর্ষ নেতৃত্ব, সরকারি প্রতিনিধি এবং সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে তরুণ উদ্যোক্তারা তাঁদের প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আইডিয়াগুলো “ইয়েস কার্ড” পায়; যা তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিবে। এই উদ্যোগের পাশাপাশি বাটা ও ‘এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ’-এর অংশীদারীত্বে দেশের সকল বাটা স্টোরে “কনজিউমার কানেক্ট ক্যাম্পেইন” চালানো হয়। প্রতিষ্ঠা দিবসে শিশু ও যুব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি জোড়া বিক্রিত জুতা থেকে ২১ টাকা করে দান করা হয় এবং এই অর্থ ব্যয় হবে জীবনমুখী দক্ষতার প্রশিক্ষণ, পরামর্শমূলক সেশন এবং শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মসূচিতে। স্টোর-ভিত্তিক এই ক্যাম্পেইনটি আরও প্রাণবন্ত করতে শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয় নানা আনন্দঘন কার্যক্রমের। এর মধ্যে ছিল জুতার বাক্স রঙ করা ও সাজানো, পুতুল নাচ। এসময় বাটার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর শিশুদের আনন্দ ও উৎসাহ দেন। বাটা বাংলাদেশ এসব উদ্যোগের মাধ্যমে কেবল তাদের ১৩১ বছরের ঐতিহ্যই উদযাপন করেনি; বরং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্র্যান্ডটির যে মূল মূল্যবোধ রয়েছে তার সফল প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই আয়োজনগুলো বাটার সামাজিক দায়বদ্ধতা, জীবনমান উন্নয়ন, যুবকদের ক্ষমতায়ন এবং শিশুদের উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে আবারও নতুন করে সামনে এনেছে। যা বাটার টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |