খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুর আতঙ্ক, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীন
সানজিদা আক্তার, খুবি :
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:০৭ পিএম আপডেট: ২৯.০৯.২০২৫ ১:৪৮ পিএম

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুর আতঙ্ক, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুর আতঙ্ক, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দিন দিন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ক্লাসরুম, লাইব্রেরি আর আবাসিক হলের আশেপাশে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, যা শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। অথচ প্রশাসনের দৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপের কোনো চিহ্ন মিলছে না।

ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, প্রায়ই তারা হঠাৎ কুকুরের আক্রমণের মুখে পড়ছেন। ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, “কামড় দেয়নি, কিন্তু হঠাৎ ৪–৫টি কুকুর একসাথে ধেয়ে আসে। সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে হাঁটা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। হাতে কিছু থাকলে সেটা খাবার ভেবে লাফালাফি করে যেন আক্রমণ করবে। যারা কুকুর ভয় পান, তাদের জন্য চলাফেরা এখন আতঙ্কের মতো।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিথী সাহা বলেন, “একাডেমিক ভবন, লেকপাড় বা ক্যাফেটেরিয়া—কোনও জায়গাতেই আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না। সম্প্রতি ক্যাফে থেকে মন্দিরের পথে যাওয়ার সময় ছয়–সাতটি কুকুর আমাকে ঘিরে ফেলে, প্রবল আতঙ্ক তৈরি করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলে আমাদের নিরাপদ চলাফেরার সুযোগ হবে।”

ক্যাম্পাসের আবাসিক হলের করিডোরেও শিক্ষার্থীরা কুকুরের ভয়ে সীমাহীন অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। আদুরি খানম নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “ফজরের সময় দরজা খুলে দেখি, ১০–১২টি কুকুর হলের করিডোরে দাঁড়িয়ে আছে। ওয়াশরুম যাওয়ার উপায় নেই। আমাকে দেখে এমনভাবে চেঁচামেচি শুরু করে, যেন আমি কোনো বহিরাগত।”

উল্লেখযোগ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত ২৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে লিখেছেন, “বিভিন্ন ক্যাম্পাস ও পাড়ায় রাস্তার কুকুর দেখা যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের কুকুর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হাইকোর্টের রায়ের কারণে বন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসহায়—একদিকে পশুপ্রেমী, অন্যদিকে আদালতের রায়। শিক্ষার্থীরা কুকুরের আক্রমণ থেকে কীভাবে বাঁচবে?”

কুকুরে কামড়ের পর করণীয় সম্পর্কে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. আরিশমা দেবনাথ বলেন, “সব কুকুরের শরীরে রেবিস ভাইরাস থাকে না, তবে কামড়ালে ঝুঁকি থাকে। আক্রান্ত হলে দ্রুত ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। না হলে, শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের চলাফেরা এবং মানসিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।


ডেল্টা টাইমস/সানজিদা/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com