|
রাত ১২টার পর এশার নামাজ? জেনে নিন সঠিক সময়
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() রাত ১২টার পর এশার নামাজ? জেনে নিন সঠিক সময় মধ্যরাত কী এবং কিভাবে নির্ণয় করা হয়? মধ্যরাত নির্ণয় করা হয় সূর্যাস্তের সময় থেকে পরদিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী অর্ধেক হিসেবে। উদাহরণস্বরূপ: সূর্যাস্ত ৫:১৪ মিনিট ও সুবহে সাদিক ৪:৪৯ মিনিট হলে মধ্যরাত শুরু হবে রাত ১১:০২ মিনিটে। সূর্যাস্ত ৬:০২ মিনিট ও সুবহে সাদিক ৫:০৫ মিনিট হলে মধ্যরাত শুরু হবে রাত ১১:৩৪ মিনিটে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সময়ের তারতম্য ঢাকার সময় অনুসারে মধ্যরাত সাধারণত রাত ১১টা থেকে ১১:৩০টার মধ্যে শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সময় ৫-১০ মিনিট কমবেশি হতে পারে। কিছু উত্তরাঞ্চলীয় জেলায় মধ্যরাত রাত ১১:৪৫ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফিকহের দৃষ্টিকোণ ফুকাহায়ে কেরামের ঐকমত্য অনুযায়ী, কোনো ওজর ছাড়া মধ্যরাতের পর এশার নামাজ বিলম্বিত করা মাকরুহ। কিছু ফকিহ এটিকে মাকরুহে তাহরিমি (নিষেধঘেষা মাকরুহ) মনে করেছেন, তবে প্রসিদ্ধ মত হলো- মাকরুহে তানজিহি (অপছন্দনীয় মাকরুহ)। আল্লামা ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) ইমাম তাহাবি (রহ.) এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। পরবর্তী অধিকাংশ আলেম এই মত গ্রহণ করেছেন। উল্লেখ্য, সফর বা অন্যকোনো শরয়ি ওজর থাকলে নামাজ বিলম্বিত করায় মাকরুহ হবে না। মোটকথা, এশার নামাজ সময়মতো আদায় করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। মধ্যরাত পার হওয়ার পর বিনা ওজরে নামাজ পড়া মাকরুহ। তাই মুসলিমদের উচিত নামাজ মধ্যরাতের আগেই আদায় করা। স্থানীয় সময় অনুযায়ী সচেতনতা তৈরি ও নামাজের সঠিক সময় পালন মুসলিম সমাজের সম্মিলিত দায়িত্ব। উল্লেখ্য, মাগরিবের পর পশ্চিম আকাশের লাল আভা দূর হওয়ার পর আকাশ প্রান্তে যে সাদা আভা চোখে পড়ে তা মুছে যাওয়ার পরই মূলত এশার সময় শুরু হয়। ওই সময় থেকে শুরু করে রাতের তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে এশার নামাজ পড়া মোস্তাহাব। তিনভাগ অতিক্রান্ত হবার পর থেকে অর্ধেক রাত পর্যন্ত পড়াও জায়েজ। আর অর্ধেক রাত থেকে নিয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত পড়া মাকরুহের সাথে জায়েজ। অর্থাৎ নামাজ আদায় হয়ে যাবে। বিলম্ব করার কারণে মাকরুহ হবে। (হেদায়া: ১/৫০-৫১, শরহে নুকায়া: ১/৫৩-৫৫, তামহিদ: ৮/৯২) নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। সাধারণত এ কারণেই জামাআতে নামাজ আদায় করা হয় ওয়াক্তের শুরুর সময়ে। শরিয়তসম্মত ওজরে যারা জামাতে শরিক হতে পারেন না, তাদের উচিত আউয়াল ওয়াক্তে বা ওয়াক্তের শুরুর সময়ে নামাজ পড়ার প্রতি যত্নবান হওয়া। (রদ্দুল মুহতার: ১/৩৬৯; আলবাহরুর রায়েক: ১/৩৪৮; তাতারখানিয়া: ১/৪০৬; বাদায়েউস সানায়ে: ১/৩২৬; হেদায়া: ১/২০১) ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
| « পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |