ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, সৌদি আরবের বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অপেক্ষার সময় ও কষ্ট কমাতে সে দেশের পরিবর্তে বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি এ বছরেই এটি কার্যকর করতে পারব। রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে তাদের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে হজযাত্রীদের বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সৌদি আরবের একটি কারিগরি দল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আগামী ৬ এপ্রিল আরও একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। আশা করছি, এবার বাংলাদেশেই প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই আমি হজের খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করি এবং ২০১৯ সালের হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমাতে সক্ষম হয়েছি। অতি সম্প্রতি সৌদি সফরকালে বাংলাদেশে বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে প্রাপ্য আরও ২০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বাড়ানোর বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি রয়েল কেবিনেটে উপস্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি হজমন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চলতি বছর হজের সময় মিনায় অবস্থানকালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের দ্বিতল খাট ব্যবহারে বাধ্য না করা, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫০ থেকে ১০০ তে নামিয়ে আনা এবং পবিত্র হজের সময় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য মক্কা, মিনা, আরাফা, মুযদালেফা তথা মাশায়েরে মোকাদ্দসায় যাতায়াতের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ও উন্নত বাস সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানাই। এর প্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রায় সবগুলো দাবিই পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকারি হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করার উদ্দেশে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গত ৬ মার্চ সৌদি আরব সফর করেন। হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা। তিনি আরও বলেন, এখন সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে, শেষ হবে আগামী ২৮ মার্চ। ইতোমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৫৭ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। কোটা অবশিষ্ট রয়েছে ৭৫৯ জনের। আবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে ৭৫ হাজার ৫২ জনের এবং ৪১ হাজার ৬৯৪ জনের কোটা অবশিষ্ট রয়েছে।