দুর্যোগ প্রশমনে স্ব-অর্থায়নে আঞ্চলিক পরিকল্পনার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() দুর্যোগ প্রশমনে স্ব-অর্থায়নে আঞ্চলিক পরিকল্পনার আহ্বান সোমবার
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ৩৪ বছর : উপকূলীয়
মানুষের সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের দাবি’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে এসব
কথা বলেন তারা। ইক্যুইটিবিডির মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চলনায় সমাবেশে
সভাপতিত্ব করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
বক্তৃতা করেন সুন্দরবন ও উপকুল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র
ভদ্র, উদয়ন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শেখ আসাদ, ইয়থ অ্যাকশান ফর
ডেভোলাপম্যান্টের সাহেদা খাতুন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের শাহরিয়ার শাওন,
সচেতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাকিলা পারভীন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের এম.এ.
হাসান প্রমুখ। সমাবেশে
রেজাউল করিম চৌধুরী দুর্যোগ প্রশমনে জাতীয়ভাবে নিজস্ব তহবিল নির্ভর
আঞ্চলিক অগ্রাধিকার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন,
উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ ও কৃষিজমি রক্ষার জন্য কংক্রিট বাঁধ নির্মাণ
করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি
করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কংক্রিট ব্লক বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলীয় বনায়ন
তৈরির জন্য সর্বাধিক দুই হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সরকারের উচিত সেই
অনুযায়ী এই বাজেট বরাদ্দ করা। উপকূলীয় অঞ্চলের সুপেয় পানির সংকটের টেকসই
সমাধানের জন্য লবণাক্ত পানি পরিশোধন প্রযুক্তির সম্প্রসারণে পদক্ষেপ
গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। আইএনজিও
এবং দেশীয় এনজিও’র মধ্যে সমতা ও মর্যাদাভিত্তিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমে আত্মসম্মান ও আত্মউন্নয়নের বোধকে জাগ্রত করার আহ্বান জানান মোস্তফা
কামাল আকন্দ। তিনি বলেন, ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ের পর ৩৪ বছর পেরিয়ে গেলেও
টেকসই উপকূলীয় সুরক্ষা ইস্যু এখনো আবহেলিত। এখনো দুর্যোগের খবরে
উপকূলবাসীর দিন কাটে শংকা ও উৎকন্ঠায়। বেড়িঁবাধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চল
প্লাবিত হয়। তাই সবার আগে উপকূলীয় সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সমাবেশে
বক্তারা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে ম্যানগ্রোভ বন আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু
রামপাল-মাতারবাড়ির মতো বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো এই বন ধ্বংস করেই তৈরি করা
হচ্ছে। ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা ওই প্রকল্পগুলো থেকে সরে এসে
নবায়ণযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হতে হবে। দুর্যোগের কারণে ভবিষ্যতের
বাস্তুচ্যুতির তীব্র সংকট মোকাবেলায় কেবল একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন যথেষ্ট
নয়; জলবায়ু-সহনশীল অগ্রাধিকার-ভিত্তিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ডেল্টা টাইমস/সিআর |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |