ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্পিক আপ ; ইউ-সিএসও’ প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় উন্নয়ন সংস্থা ‘টেরে ডেস হোমস্ নেদারল্যান্ডস’ (টিডিএইচ-এনএল), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স (বিটিএস) ও ইনসিডিন বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিডিএইচ-এনএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার নজরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল হাসান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের টীম লিডার এনরিকো লরেনজো, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, বিটিএস-এর জাহিদ হোসেন ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহমিনা বেগম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, “শিশু-কিশোররা প্রতিনিয়ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের বিকল্প দিতে না পারায় তারা অনলাইন হতো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সাইবার হয়রানি ও নির্যাতন কমাতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বয় জরুরি। সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।” সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, “শিশু ও যুবদের ডিজিটাল নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। সরকারের, বেসরকারি খাত, গণমাধ্যম ও কমিউনিটির পারস্পরিক সহযোগিতায় একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো সম্ভব। শিশু ও যুব, নাগরিক সংগঠন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, অভিভাবক ও কমিউনিটি—all—কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে বলা হয়, ‘স্পিক আপ ; ইউ-সিএসও’ প্রকল্পের লক্ষ্য ১২–২৪ বছর বয়সী শিশু ও যুবদের ডিজিটাল পরিসরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নীত করা। প্রকল্পটি অনলাইনে যৌন শোষণ, সাইবার বুলিং, ভুল তথ্য প্রচার ও হয়রানি প্রতিরোধের পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা ও অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করছে। নাগরিক সংগঠনগুলোর ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, নীতিগত সহায়তার মাধ্যমে শিশু ও যুবদের নেতৃত্বে অধিকারভিত্তিক আলোচনার পরিবেশ গড়ে তোলা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। যেখানে প্রান্তিক, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যসম্পন্ন শিশু ও যুবরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। বিশেষ করে মেয়েরা অনলাইনে নির্যাতনের শিকার হওয়ার কারণে, প্রকল্পে লিঙ্গ-সংবেদনশীল, ট্রমা-সচেতন ও শিশু-বান্ধব পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |